ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রোববার থেকে আমরণ অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২২ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা পাঁচদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাবার পরও দাবি আদায় না হওয়ায় আমরণ অনশন পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। আগামীকাল রোবরাব থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আন্দোলকারীরা।

গত পাঁচদিন ধরে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে তাদের এ আন্দোলন শুরু হয়েছে। এমপিওভুক্তি, সহকারী শিক্ষকদের মতো বেতন, বাসা ভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয় পাওয়াসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড, ফেস্টুনে ‘মা ভাত দাও’, ‘মা এমপিও চাই’ ‘করুণা নয় নিজেদের অধিকার চাই’ লেখা এমন নানা স্লোগানে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওকরণের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল থেকেই তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, টানা পাঁচ দিন আন্দোলন চালিয়ে গেলেও আমাদের দিকে কেউ মুখ তুলে দেখছেন না। শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজেদের অধিকার আদায়ে টানা পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সকলে অর্ধহারে-অনাহারে দিন পার করছেন। এতে অনেকে অসুস্থ হয়েও পড়ছেন। তাই বাধ্য হয়ে কাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা আমরণ অনশনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

non-mpo

তিনি বলেন, এমনিতেই গত পাঁচদিন ধরে আমাদের খাওয়া-নাওয়া, ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এর মধ্যে আমরণ অনশন পালনে কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর মৃত্যু হলে তার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ গড়ার কারিগরদের এমন নাজুক অবস্থার পরও সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই জীবন গেলে যাবে তবুও আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব। কাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা আমরণ অনশনে নামবেন- ফেড়ারেশনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে গত পাঁচ দিন ধরে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত মঙ্গলবার থেকে খোলা আকাশের নিচে শীত আর মশার যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করে তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

এমএইচএম/এমবিআর/এমএস

আরও পড়ুন