কার্ডে দেয়া যাবে ওয়াটার ট্যাক্সির ভাড়া
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) এসি বাস, ঢাকা চাকা পরিবহনে যাতায়াতের ভাড়া প্রাথমিকভাবে র্যাপিড পাস কার্ডে পরিশোধ পদ্ধতি চালু হয়েছে। এবার হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিতেও এর ব্যবহার চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত মে মাসে বিআরটিসির ২৮টি এসি বাসের পর ২৪ ডিসেম্বরে ‘ঢাকা চাকা’ পরিবহনে র্যাপিড পাস কার্ডের প্রাথমিক ব্যবহার শুরু হয়। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এই র্যাপিড পাস কার্ডে কাজ করছে।
এ বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, চলতি বছরের মে মাস থেকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বিআরটিসির এসি বাসে র্যাপিড পাস কার্ড সার্ভিস চালু হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর থেকে ‘ঢাকা-চাকা’ পরিবহনে শুরু হয় র্যাপিড পাস কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের এই কার্যক্রম। ইতোমধ্যে আমরা হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিতেও র্যাপিড পাস কার্ড ব্যবহারের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে ওয়াটার ট্যাক্সি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তারাও পজিটিভলি সারা দিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই ওয়াটার ট্যাক্সিতে যাতায়াতকারী র্যাপিড পাস কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন।
বিআরটিসির এসি বাস এবং ঢাকা চাকা পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যে ৬০ হাজার র্যাপিড পাস কার্ড তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা চাকায় এই কার্ড চালুর পর থেকে সাধারণ মানুষ ব্যাপক সারা দিচ্ছে। গত ৩ দিনে প্রায় ৩০০ কার্ড বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়া বিআরটিসির এসি বাসের জন্য প্রায় ৮০০ কার্ড ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে।
র্যাপিড পাস কার্ড ব্যবহার বিষয়ে তিনি বলেন, কার্ডের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী পরিবহন বিল পরিশোধ করা যাবে। র্যাপিড পাস মূলত ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ডের মতো। যাত্রী বাসে ওঠার সময় বাসে রাখা মেশিনের সঙ্গে কার্ডটি পাঞ্চ করলে সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে। আবার যাত্রী যখন কাঙিক্ষত গন্তব্যে নামবেন তখন আবার কার্ড পাঞ্চ করলে নির্ধারিত গন্তব্য অনুযায়ী কার্ড থেকে ভাড়া কেটে নেয়া হবে। এই কার্ড আবার রিচার্জ করা যাবে।
তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে বেসরকারি গণপরিবহনে এটি কীভাবে ব্যবহার করানো যায় তার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
র্যাপিড পাস কার্ড পেতে যা করতে হবে :
কার্ড ব্যবহারকারীকে প্রথমে নিবন্ধন ফরম জমা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই কার্যদিবস সময় লাগবে। ৪০০ টাকার মূল্যে কার্ডটি ক্রয় করা যাবে। প্রাথমিকভাবে রিচার্জের টাকা শেষ হয়ে গেলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের আটটি শাখা থেকে র্যাপিড পাস কার্ড ক্রয় এবং রিচার্জ করা যাবে।
শাখাগুলো হলো- মতিঝিল লোকাল অফিস শাখা, মতিঝিল বৈদেশিক বিনিময় শাখা, এলিফ্যান্ট রোড শাখা, উত্তরা শাখা, বনানী শাখা, গুলশান সার্কেল-১ শাখা, গুলশান শাখা ও সোনারগাঁ জনপথ শাখা। এছাড়া নতুন বাজার, গুলশান-২, শ্যুটিং ক্লাব ও বনানী টিকেট কাউন্টার থেকে ঢাকা চাকার র্যাপিড কার্ড ক্রয় ও রিচার্জ করা যাবে। অন্যদিকে বিআরটিসির এসি বাসের জন্য হাউজ বিল্ডিং, বনানী, শাহাবাগ ও মতিঝিলে পাওয়া যাবে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মজুমদার জানান, বিআরটিসির এসি বাস ও ঢাকা চাকা পরিবহনে এই র্যাপিড পাস কার্ড প্রাথমিকভাবে চালু হলেও আগামী ৪ জানুয়ারি এটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
এএস/জেডএ/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ ফ্যাসিস্টদের মুখোমুখি হতে ভয় পেলে নতুন বাংলাদেশ গড়া যাবে না: সারজিস
- ২ চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান হাসনাতের
- ৩ মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ
- ৪ মিডিয়ার চোখে র্যাব-জনগণের প্রত্যাশা বিষয়ে সেমিনার
- ৫ সরকারি কর্মচারীদের শুধু নিজের সুবিধা বৃদ্ধির কথা ভাবলে চলবে না