রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাখ্যা
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বিষয়ে গত কয়েক সপ্তাহে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। রোববার বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে বিধায় সার্বিক বিষয়টির উপর বিদ্যুৎ বিভাগের গণমাধ্যমে বক্তব্য তুলে ধরে।
প্রথমত, ফ্রান্সের তিনটি ব্যাংক যথাক্রমে ক্রেডিট এগ্রিকোল, সোসেয়িতে জেনারেল ও বিএনপি পারিবাস বলেছে যে তারা বাংলাদেশের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিনিয়োগ করবে না।
প্রকৃতপক্ষে ফ্রান্সের এ তিনটি ব্যাংকের নিকট বিদ্যুৎ বিভাগ বা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)-এর পক্ষ থেকে অর্থায়নের বা বিনিয়োগের কোনো অনুরোধ করা হয়নি। অতএব ফ্রান্সের ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ প্রত্যাখানের বিষয়টি অপ্রাসংগিক।
দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও ঐতিহ্য বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো সুন্দরবনে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ তাকে স্বাগত জানায়। বিদ্যুৎ বিভাগ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ইউনেসকোর পর্যবেক্ষক দল সরেজমিনে দেখলে এ ব্যাপারে তাদের ধারণা পরিবর্তন হবে এবং এই প্রকল্পের ব্যাপারে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করবে।
এবং সর্বশেষ গত ৫ আগষ্ট ২০১৩ তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তর রামপালে স্থাপিতব্য ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) রিপোর্টটি ৫৯টি শর্ত (কথিত ৬৯টি নয়) পূরণ সাপেক্ষে অনুমোদন প্রদান করে।
প্রদত্ত শর্তসমূহের মধ্যে কিছু শর্ত প্রকল্প বাস্তাবায়নকালে করা হবে এবং বাকি শর্তগুলো যেগুলো বাস্তবায়নের পরে প্রযোজ্য সেগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে যথাচিত গুরুত্বের সাথে অনুসরণ করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এমএম/আরএস/আরআই