ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাড়ি ফেরার তিনদিন আগে পৃথিবী ছাড়লেন বিনিশা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

বৃহস্পতিবার ছিল টার্মের শেষ পরীক্ষা। এর তিন দিন পর ফ্লাইট ছিল নেপালের। পাঁচ মাস পর পরিবারের সঙ্গে দেখা হবে। খুব খুশি ছিল। তবে ফিরতে একটু তাড়াহুড়ো করে ফেললেন বিনিশা শাহ্। বাড়ি ফেরার তিন দিন আগেই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।

বিনিশা শাহ রাজধানীর পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজের ২২তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার তার টার্ম-২ পরীক্ষা ছিল। তবে দুপুরে পরীক্ষার হল ছেড়ে হোস্টেলে এসে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার বাড়ি নেপালের বিরাটনগর শহরে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সহপাঠীর এ আত্মহত্যা মেনে নিতে পারছেন না কেউ। তার মৃত্যুর খবর শুনেই স্বদেশি এবং তার বাংলাদেশি সহপাঠীরা তার মরদেহ দেখতে হোস্টেলে ভিড় করেন। তাদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে হোস্টেলের পরিবেশ।

binisha

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিনিশা শাহের রুমমেট নেপালি শিক্ষার্থী রোকসা জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিনিশা পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই হল থেকে বেরিয়ে যায়। আমি পরীক্ষা শেষ করে এসে দেখি দরজা লক করা। অনেকক্ষণ নক করার পরও সে দরজা খুলছিল না। তখন বিকল্প চাবি এনে ওকে ঝুলে থাকতে দেখি। আমরা দুজন একসঙ্গে থাকতাম। গতকাল (সোমবার) রাতে এবং আজ সকালেও একসঙ্গে খেয়ে পরীক্ষা হলে গিয়েছি। কখনো তার আচরণ-ভঙ্গিমা দেখে মনে হয়নি যে সে আত্মহত্যা করতে পারে। আমি এমন পরিস্থিতি কখনো কল্পনাও করিনি।’

binisha-big

বিজ্ঞাপন

আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থী বিনিশা শাহ।

তার আরেক বান্ধবী আফসারা বলেন, টার্ম-২ এর আর মাত্র একটি পরীক্ষা বাকি ছিল। পরীক্ষা শেষে ২২ ডিসেম্বর আমাদের একসঙ্গে নেপালে যাওয়ার কথা ছিল। বাড়ি যাওয়া নিয়ে আমরা খুবই খুশি ছিলাম। এছাড়া বিনিশা সবসময়ই হাসিখুশি একটা মেয়ে ছিল।

বিনিশার সহপাঠী সর্বাজ্ঞা জাগো নিউজকে বলেন, টার্ম-২ এ চারটা পরীক্ষার মধ্যে আজ ছিল তৃতীয়। শেষ পরীক্ষা ছিল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার আমাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। বিনিশা গত পাঁচ মাস ধরে বাড়ি যায় না। বাড়ি যাওয়ার জন্য খুব উদ্-গ্রীব ছিল সে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার বিনিশার হোস্টেল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগেই খাতা জমা দিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি।

binisha

শিক্ষার্থীরা তার মৃত্যুতে ডেন্টাল কলেজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুললেও গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার তার ট্রার্ম-২ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করলে শিক্ষকরা তাকে ধরে ফেলেন, কিন্তু পরীক্ষা দিতে বারণ করেননি। বিনিশা নিজেই হল থেকে বেরিয়ে যান। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আমরা আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ক্রাইম সিন ইউনিট তার ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ করছে।

বিজ্ঞাপন

নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে মরদেহ পাঠানো হবে।

জেইউ/এআর/জেডএ/আইআই

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন