ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ইসিতে ৩ বাম দলের ১৮ দফা সুপারিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে তিনটি বাম রাজনৈতিক দল। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে যৌথভাবে এ সুপারিশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন এ তিন দলের নেতারা।

বৈঠকে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, দলের জাতীয় পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহিদুল হক মিলু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে আমরা তিন দল আলাদা আলাদা মতামত কমিশনে দিয়েছি। আমরা মনে করি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি। আমাদের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করতে হবে। আবার অনেক সুপারিশ আছে যা কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি যাদের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেসব দলের সদস্যরা যাতে হুট করে অন্য দলের প্রার্থী হতে না পারে সেই বিষয়ে নজর রাখা। রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট দলের কমপক্ষে পাঁচ বছর সক্রিয় সদস্য হতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে প্রার্থীদের জন্য পরিচিতি সভার আয়োজন ও নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যয় কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

সিপিবি, বাসদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১৮ দফা সুপারিশ হচ্ছে-

১. সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর জামানত পাঁচ হাজার টাকা করা
২. ভোটার তালিকার সিডি বিনামূল্যে প্রদান
৩. সব প্রার্থীর টিআইএন বাধ্যতামূলক করার পরিবর্তে আয়করযোগ্যদের টিআইএন বাধ্যতামূলক করা
৪. অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুবিধা
৫. তফসিল ঘোষণার পর বেসমারিক প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধায়নে রাখা
৬. রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হলে কমপক্ষে পাঁচ বছর দলে সক্রিয় সদস্য থাকা
৭. মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ
৮. প্রতি এলাকায় কমিশন কর্তৃক প্রার্থীদের পরিচিত সভা আয়োজন
৯. প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় তিন লাখ টাকা নির্ধারণ
১০. প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং করা
১১. নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের হিসাব ভোটের সাতদিনের মধ্যে দাখিল, অন্যথায় নির্বাচিতদের শপথগ্রহণ বন্ধের বিধান
১২. নির্বাচনে যে কোনো ধরনের পেশী শক্তির ব্যবহার বন্ধ
১৩. নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার ও সাম্প্রদায়িকতা কঠোরভাবে বন্ধ
১৪. প্রচার-প্রচারণায় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যথাযথভাবে প্রয়োগ করা ও
আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের প্রার্থিতা বাতিল
১৫. সীমানা নির্ধারণ স্বচ্ছ করা এবং ভোটারের সমসংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ
১৬. ভোটকেন্দ্রের তালিকা নির্বাচনে দুই সপ্তাহ আগে প্রার্থীদের প্রদান
১৭. ইভিএম চালু না করা
১৮. আরপিওর অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক ধারা বাতিল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বিধান বাতিল

এইচএস/এসআর/পিআর

আরও পড়ুন