প্রতিটি উন্নয়ন কাজে সশস্ত্র বাহিনী সম্পৃক্ত : প্রধানমন্ত্রী
উন্নত ও সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে শুধু ক্যান্টনমেন্টে থাকার জন্য না। আমাদের দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। যে কারণে আজকে আমাদের যে কোনো উন্নয়নের কাজে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সম্পৃক্ত থাকছে।
সোমবার মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়্যার কোর্স-২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানেই কোনো কঠিন কাজ হচ্ছে সেখানেই আমরা সেনাবাহিনীকে ডেকে নিচ্ছি, বা কোথাও নৌবাহিনী, কোথাও বিমানবাহিনী কাজ করছে। সবাই মিলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছি। যে কারণে অনেক প্রকল্পের কাজ আমরা খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে পারছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় প্রণয়ন করা প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সশস্ত্র বাহিনীকে ‘আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর’ হয়ে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রসহ সরঞ্জামাদি, যা কিছু দরকার আমাদের সাধ্যমত ক্রয় করে দিচ্ছি।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের গুরুত্ব ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতির এ মূল মন্ত্র মেনে বৈদেশিক নীতি পরিচালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা শুনে নিজের গর্বের কথা প্রকাশ করেন তিনি।
১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ প্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কলেজ সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে এবং বহু দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আসছে। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের শিক্ষার্খীরা ‘জ্ঞানেই নিরাপত্তা’ মূলমন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশকে টেকসই উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
এবারের ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে মোট ৮০ জন অংশ নেন, যার মধ্যে ২৭ জন বিদেশি রয়েছেন। আর ওয়্যার কোর্সে অংশ নিয়েছেন ৩৫ জন। অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবারে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান, নেপাল ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ২৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। ৫৩ জন দেশি প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর বাইরে সিভিল সার্ভিস, পুলিশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট চোধুরী হাসান সারওয়ারদী।
এফএইচএস/এনএফ/জেডএ/জেআইএম