ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আর কারা মন্ত্রিত্ব হারাচ্ছেন বলা মুশকিল : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৪৬ এএম, ১০ জুলাই ২০১৫

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মত আর কেউ মন্ত্রিত্ব হারাচ্ছেন কিনা তা বলা মুশকিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শুক্রবার দুপুরে সিলেটের কাজিরবাজার ব্রীজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অব্যাহতির বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে, বিষয়টি আগে থেকেই আমরা ৬/৭ জন জানতাম। কিন্তু পরবর্তীতে আর কাউকে অব্যহতি দেয়া হবে কি না তা বলা মুশকিল। এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। তবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মত একটি মন্ত্রণালয় তো দীর্ঘদিন মন্ত্রীবিহীন থাকতে পারেনা। তাই মন্ত্রী পরিষদের পরিবর্তন এ মন্ত্রণালয় গতিশীল হবে।

দুই পাশের রাস্তার কাজ শেষ হবার পর কাজিরবাজার সেতু উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে সিলেট নগরের চৌহাট্টাস্থ চারতলা বিশিষ্ট ভোলানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনসহ সিটি কর্পোরেশনের তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী।

শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সিটি কর্পোরেশনের সম্পাদিত সদ্য সমাপ্ত তিনটি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী। এগুলো হলো, ভোলানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, হলদিছড়ায় আরসিসি বক্স কালভার্ট-আরসিসি ইউটাইপ ড্রেন এবং কদমতলী সড়ক আরসিসিকরণ ও ইউটাইপ ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প।

সকাল ১১টায় প্রথমে সিলেট নগরের চৌহাট্টায় ভোলানন্দ নৈশ বিদ্যালয়ের চার তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় তাকে স্বাগত জানান, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব। পরে ফলক উন্মোচন করে নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী।

এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ,৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদসহ সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৯৪ লাখ ৪৩ হাজার ২৮৫ টাকা। অর্থমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দে ২০১২ সাল থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল।

বেলা পৌনে ১২টায় অর্থমন্ত্রী কদমতলী-শিববাড়ী সড়ক আরসিসিকরণ ও ইউটাইপ ড্রেন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, `সিটি কর্পোরেশন নাগরিকদের স্বার্থে এসব উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করছে। এক্ষেত্রে নাগরিকদেরও অনেক দায়িত্ব আছে। এসব সম্পাদিত উন্নয়নমূলক কাজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শুধু সিটি কর্পোরেশনের নয়, এসব রাস্তাঘাট ড্রেন যাতে নষ্ট না হয় নাগরিকরাও সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।`

২০১২-১৩ অর্থ-বছরে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা। যা সিডিএমপি (কম্প্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম) প্রকল্প থেকে ব্যয় করা হয়। এ প্রকল্পে ১৩৮০ মিটার ড্রেন এবং ৯৯০ মিটার আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।



বেলা ১২টায় অর্থমন্ত্রী হলদিছড়ায় আরসিসি বক্স কালভার্ট-আরসিসি ইউটাইপ ড্রেন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল আহমদ রিপন, সংরক্ষিত ৮ আসনের কাউন্সিলর সালেহা কবীর শেপী, সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহজাহান প্রমুখ।

এ প্রকল্পের আওতায় ৭২ মিটার বক্স কালভার্ট এবং ৫৪৪ মিটার ইউটাইপ ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় একটি ৫৪ মিটার বক্স কালভার্ট নির্মাণের কারণে শাপলাবাগ ও সবুজবাগের মধ্যে একটি সংযোগ রাস্তাও স্থাপন করা হয়েছে।

২০১৩-১৪ অর্থ-বছর থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। জায়গা অধিগ্রহণে ব্যয় হয় তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যা সিডিএমপি (কম্প্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম) প্রকল্প থেকে ব্যয় করা হয় এবং আরসিসি বক্স কালভার্ট ও ইউটাইপ ড্রেন নির্মাণে ব্যয় হয় তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকা। যা সিটি কর্পোরেশনের অবকাঠামো উন্নয়ন উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প থেকে ব্যয় করা হয়।

পরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি কোর্ট পয়েন্টে নির্মানাধীন ফুটওভার ব্রিজের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান চলমান কাজ সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী কাজ দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর