দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে
অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে অার কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। এটাই হবে অাজকের দিনের শপথ। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত একটি দেশ।
অাজ (রোববার) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অান্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে অায়োজিত অালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অাওয়ামী লীগ অায়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অাওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক অামিনুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এ দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তারা অাবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। এ দেশের জনগণ অার তাদের ভোট দেবে না। কারণ তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করে। যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতি করছে। খালেদা জিয়া অান্দোলনের নামে ধংসাত্মক কর্মসূচি ডেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের দিয়ে অাগুন জ্বালায়-পেট্রলবোমা মারে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে হুকুম দেয় খালেদা জিয়া অার পরামর্শ করে তার কুলাঙ্গার ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে। যে শত শত কোটি টাকা মানিলন্ডারিং করে বিদেশে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি করে অাজ ভাঙা সুটকেস অার ছেঁড়া গেঞ্জির ভেতর থেকে কো কো ওয়ান, টু থেকে অনেকগুলো জাহাজ। অাবার এখন শুনছি মার্কেটে বের হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করতে যাদের অবদান নেই, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে তারা দেশের জন্য কিছুই করবে না। বরং লুটপাট করে তারা দেশটাকে অারও ধ্বংস করবে। তাদের অার কোনোদিন ভোট দেবেন না।
অালোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- অাওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী অামির হোসেন অামু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল অাহমেদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুননেছা ইন্দিরা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে অালম মুরাদ।
এফএইচএস/বিএ/আরআইপি