মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ত্যাগের মহিমায় তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। এক মুহূর্তের জন্যও এটা ভোলা যাবে না আমরা বিজয়ী জাতি, বীরের জাতি। আমরা মাথা নত করে চলি না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারাই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা যুদ্ধ করেছিলেন, তাই তাদেরকে লাখো সালাম জানাই। এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণও দিয়েছেন এখানেই। এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান।
‘পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে ও আওয়ামী লীগকে আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তার কথায়, দেশের প্রতিটি মানুষ যেন যুগ যুগ ধরে এ আনন্দ উৎসব করে যেতে পারে সেটাই চাই। আর যেন কোনো অন্যায়-অবিচার দেশে না হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় একজন মুক্তিযোদ্ধার আবেদনের প্রেক্ষিতে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ করে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এইউএ/এএইচ/আরআইপি