ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচন নিয়ে ইসির বৈঠক রোববার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন কীভাবে হবে তা নিয়ে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল (রোববার) বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ডিএনসিসিতে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি দক্ষিণেও সম্প্রসারিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এটি হবে ইসির ১৫তম কমিশন বৈঠক। এজন্য কার্যপত্র চূড়ান্ত করেছে ইসি সচিবালয়।
জানা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) যুক্ত নতুন ওয়ার্ডগুলোর সীমানা ইতোমধ্যে পুনর্বিন্যস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এসব ওয়ার্ডের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সব তথ্যও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর আনিসুল হক মৃত্যুতে ডিএনসিসির মেয়র পদটি শূন্য হয়। আইন অনুযায়ী আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই পদে উপ-নির্বাচন আয়োজন করতে হবে ইসিকে।
জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটিতে নির্বাচনে জন্য বর্তমানের এখতিয়ারাধীন এলাকা, সীমানা ও ওয়ার্ড, শূন্য পদে উপ-নির্বাচনের জন্য ওয়ার্ড বিভক্তি ও ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস, বিভক্ত ওয়ার্ড ও পুনর্বিন্যস্ত ভোটার তালিকার সিডি প্রাপ্তির সর্বশেষ অবস্থান, উপ-নির্বাচনের প্রাক্কালে হালনাগাদ করা খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ও নিষ্পত্তিবিষয়ক কার্যক্রমে প্রভাব দুই সিটির সীমানা বাড়ানোর পর ওয়ার্ড সংখ্যা বৃদ্ধি ও ওয়ার্ড বিভক্তি চূড়ান্তের পর পরিষদের আগের সদস্য ও বর্তমান সদস্য সংখ্যা এবং পরিষদ গঠনবিষয়ক বিধান পর্যালোচনা, দুই সিটিতে সীমানা ও ওয়ার্ড বাড়ায় পরিষদের বা বর্ধিতাংশের কাউন্সিলর পদের মেয়াদ বা নির্বাচনের বিষয় কোনো জটিলতা অথবা আইনগত দিক পরীক্ষা করা নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত চলতি বছর দুই সিটি করপোরেশনে ৩৬টি ওয়ার্ড বাড়িয়ে সীমানা নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ নতুন এ বিষয়ে গেজেট জারি করে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন ৩৬টির সঙ্গে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যোগ হওয়ায় এখন মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪টি। তবে উপ-নির্বাচন হলে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডে কীভাবে নির্বাচন হবে?- এ সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। এজন্য এ নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
এইচএস/এমএমজেড/আরআইপি