রামপুরা-৩০০ ফিট হয়ে ভুলতা পর্যন্ত চলবে বিআরটিসি
যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড, ৩০০ ফিট, বালু ব্রিজ ও কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে ভুলতা (গাউছিয়া) পর্যন্ত (নতুন রুটে) চলাচল শুরু করেছে বিআরটিসির বাস। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাসগুলো ছাড়লেও এর নির্ধারিত রুট-রামপুরা সেতু থেকে। তবে বাড্ডায় ইউলুপ নির্মাণের কাজ শেষের পর রামপুরা সেতুর কাছ থেকে বাসগুলো ছাড়বে।
গত কিছু দিন থেকে চালু হওয়া বিআরটিসি বাসের কারণে স্বস্তি মিলেছে এ রুটে চলাচলকারীদের। সেই সঙ্গে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রুটটি। তবে ভাড়া তুলনামূলক বেশি নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
নতুন এ রুটে বর্তমানে বিআরটিসির ৯টি বাস চলাচল করছে উল্লেখ করে এ রুটের কাউন্টার ম্যানেজার সোহাগ আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত এ রুটে মোট চারটি কাউন্টার আছে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বর্তমানে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাসগুলো ছাড়লেও কিছুদিনের মধ্যে রামপুরা ব্রিজ থেকে বাড্ডা, নতুনবাজার, কুড়িল বিশ্বরোড, বালু ব্রিজ ও কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা (গাউছিয়া) পর্যন্ত চলাচল করবে।
ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কুড়িল থেকে বালু ব্রিজ পর্যন্ত ২০ টাকা, কাঞ্চন ৩০ টাকা এবং ভুলতা পর্যন্ত ৪৫ টাকা ভাড়া ধরা হয়েছে। রামপুরা থেকে ভুলতা পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা।
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩০০ ফিট হয়ে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ৩০ টাকার টিকিট কিনেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, এ রাস্তায় বিআরটিসি বাস চালু হওয়ায় কষ্ট লাঘব হয়েছে। আগে এ সড়কে যাতায়াতের জন্য প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতো। সেখানে জনপ্রতি ভাড়া নিতো ১০০ টাকা। সেখানে বিআরটিসি বাসে লাগে ৩০ টাকা। এ বাস চলাচলে অনেক উপকার হয়েছে।
বিআরটিসির বাসের ভাড়া তুলনামূলক বেশি নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে আরেক যাত্রী কমল খন্দকার বলেন, বাস চলাচল শুরু হওয়ায় এ এলাকার মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে। কিন্তু দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া বেশি বলে মনে হচ্ছে। কাঞ্চন ব্রীজ পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩০ টাকা, কিন্তু দূরত্ব আর সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী এটা হওয়া দরকার ছিল ২০ টাকা।
এ রুটের প্রাইভেট কার চালক হায়দার হোসেন বলেন, আগে সিরিয়াল মেন্টেন করে যাত্রী আনা-নেয়া করতাম। তখন যাত্রীর অভাব হতো না। তবে বিআরটিসি বাস চালুর পর ব্যবসা লাটে উঠেছে। বর্তমানে যাত্রী পাচ্ছি না বললেই চলে।
এএস/এএইচ/এমএস