নগরীতে তীব্র গ্যাস সংকট : জ্বলছে না চুলা
আজিমপুরের বাসিন্দা গৃহবধু তাসলিমা বেগম শখ করে বাজার থেকে স্বামীকে দিয়ে বড় পাঙ্গাস মাছ কিনিয়ে এনেছেন। মঙ্গলবার তার ব্যবসায়ী স্বামী এজাজ আহমেদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই স্বামী ও সন্তানকে নিজ হাতে মাছ রেঁধে খাওয়াবেন বলে মনস্থির করেন। কিন্তু বিধি বাম। চুলায় ভাত আর ডাল চড়াতেই ধূপ করে চলে গেল গ্যাস। তাসলিমা বেগম বারবার গ্যাসের চুলা জ্বেলে দেখছেন গ্যাস এসেছে কিনা।
দুপুর ১টায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শুধু আজ না গত কয়েকদিন যাবত গ্যাসের সংকটে রান্নাবান্না করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। রাতের বেলা কিছুটা গ্যাস থাকলেও সকাল ৯টার পর থেকে গ্যাস থাকে না। কখনও কখনও টিপটিপ করে চুলা জ্বললেও সেই গ্যাসে কোন কিছু রান্না করা সম্ভব হয় না। কবে এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাব কে জানে বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন তিনি।
পুরান ঢাকার লালবাগসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে প্রতিটি পরিবারকে রান্নাবান্নার কাজে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কখনও রান্না শেষ হওয়ার আগে আবার কখনও রান্নার মাঝ পথে গ্যাস চলে যাচ্ছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির কারণে পুরান ঢাকার লালবাগসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের মারাত্মক সংকট চলছে। গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় গ্যাসের লাইনে চাপও কম। ফলে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না।
গ্যাস সংকটের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ধানমন্ডি জোনের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। তিতাসের একজন কর্মকর্তা জানান, সাধারণত শীতকালে ঠাণ্ডায় গ্যাস জমে যাওয়ায় লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন অবৈধ সংযোগের কারণে গ্যাস লাইনে লিক করলে গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ ব্যাহত হয়। তবে এবার শীত আসার আগেই গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে বলে তিনি জানান।
এমইউ/ওআর/আইআই