ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কর্মচারীদের বেতনের ২৮ লাখ টাকা নেতার পকেটে!

প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ০৭ জুলাই ২০১৫

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের এক কথিত ‘কর্মচারীবান্ধব’ নেতার বিরুদ্ধে কর্মচারীদের বকেয়া বেতনের প্রায় ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তার কল্যাণে ২৭৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বকেয়া বেতন বাবদ ২৩ হাজার ১৫৯ টাকার ভাউচারে স্বাক্ষর করে হাতে পেয়েছেন মাত্র ১৩ হাজার ১৫৯ টাকা।

বকেয়া বেতন নিতে আসা কর্মচারীরা ক্যাশিয়ারের কাছে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা কম দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আমাকে জিজ্ঞাসা না করে তোমাদের নেতা খালেককে জিজ্ঞাসা করো? বিদায়ের সময় তিনি কর্মচারীদের ডেকে বলেন, খালেকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখো, ঈদের পর আরো বকেয়া পাওনা পাবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রথম পাঁচ বছরের শাসনামলের শুরুর দিকে ২০০৯ সালে ২৭৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রথমে স্থগিত ও পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত সাপেক্ষে বাতিল করা হয়।

এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রাপ্ত একাধিক কর্মচারী উচ্চ আদালতে একাধিক রিট মামলা দায়ের করেন। কয়েক বছর মামলা শেষে ২০১৩ সালে আদালতের নির্দেশে ২৭৪ জনের সকলেই নিয়োগ পান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কর্মচারীদের বকেয়া তিন মাসের বেতন আনতে হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের অফিস কক্ষে যান। ক্যাশিয়ার বেতনবাবদ তাদেরকে ২৩ হাজার ১৫৯ টাকার ভাউচারে স্বাক্ষর করিয়ে ১৩ হাজার ১৫৯ টাকা দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মচারী জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয় থেকে বকেয়া বেতন তুলে আনার পারিশ্রমিক বাবদ আবদুল খালেক জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা কেটে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি অনেক কর্মচারীকে ডেকে বলেছেন, সরকারি টাকা কীভাবে আনতে হয় আমি জানি। কিন্তু টাকা আনতে জায়গায় জায়গায় ঘুষ দিতে হবে। তাছাড়া আমি যে পরিশ্রম করবো তার পারিশ্রমিক দিতে হবে। আমি নেতা তাই তোমাদের জন্য খাটুনি করছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নাজিমুন্নেছা মঙ্গলবার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। ক্যাশিয়ার তো কর্মচারীদের টাকা কম দিতে পারে না। তিনি কাল অফিসে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। এ ব্যাপারে জানতে কর্মচারী নেতা খালেকের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোাগাযোগের চেষ্টা করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এমইউ/বিএ/আরআই