ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বেতন বৈষম্য অবসানে প্রাথমিক শিক্ষকদের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে একই যোগ্যতার সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য অবসানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট।

তাদের দাবি, একই যোগ্যতার শিক্ষকদের বেতন স্কেলে তিন ধাপে বৈষম্য করা হচ্ছে। এ অবস্থা নিরসনে আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের একধাপ পরের গ্রেডে বেতনস্কেল নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক উজ্জল রায় বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেতন ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের বেতন একই ছিল। এর পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ছিল। ২০০৬ সালে এই ব্যবধান ২ ধাপ হলেও ২০১৪ সালে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় তিন ধাপে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ঘোষিত ৮ম জাতীয় পে-স্কেল অনুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন আর প্রশিক্ষণছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৫তম।

তিনি আরও বলেন, একই যোগ্যতা নিয়ে চাকরিতে যোগদান করলেও সহকারি শিক্ষকরা তিনধাপ নিচে বেতন পাচ্ছেন। একজন প্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকরি শুরু করেন, একজন সহকারি শিক্ষক সেখানে শেষ করেন। যা চরম দুঃখ এবং লজ্জাজনক। এ বৈষম্য নিরসন করে প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপে সহকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করা সাড়ে তিন লাখ শিক্ষকের প্রাণের দাবি।

এ সময় সংগঠনের পক্ষে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করে জাতীয় প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীনুর আক্তার। তিনি বলেন, আমাদের একদফা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় দেশের সব জেলায় সংবাদ সম্মেলন করা হবে।

২২ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি মেনে নেয়া না হলে ২৩ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচী শুরু হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি তপন কুমার মণ্ডল।

জেইউ/এইউএ/এমএমজেড/এমএস

আরও পড়ুন