জেদ্দায় নয় হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন হবে শাহজালাল বিমানবন্দরে
আগামী বছর থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন দেশের মাটিতেই হবে। বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণেচ্ছু সোয়া লক্ষাধিক হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই সম্পন্ন হবে। ফিরে আসার সময়ও একই কায়দায় ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ হবে।
ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হজযাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে এ প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ, ধর্ম মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। সৌদি আরবও আগামী বছর থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন দেশেই সম্পন্ন করার ব্যাপারে নীতিগতভাবে রাজি হয়েছেন। হজ কার্যক্রম শুরুর পর সৌদি সরকারের একটি প্রতিনিধি দল চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাংলাদেশে আসবেন বলে জানান তিনি।
এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি নারী, পুরুষ ও শিশু হজ করেন।
পবিত্র হজ পালন করে দেশে ফিরেছেন এমন যে কোনো হজযাত্রীকে হয়রানি ও ভোগান্তির কথা জিজ্ঞাসা করলেই সবাই এক বাক্যে জেদ্দা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে চরম হয়রানি ও ভোগান্তির দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা বলবেন। এহরাম বেঁধে বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ভ্রমণ করে বিমানবন্দরে এসে ক্লান্ত হয়ে কখন বাইরে বের হবেন সে অপেক্ষায় থাকেন।
হজ মৌসুমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে হজযাত্রীরা উপস্থিত হলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ধীরে ধীরে ইমিগ্রেশন কাজ করেন। বাংলাদেশি যাত্রীদের কেউ কেউ ৫-৬ ঘণ্টা ইমিগ্রেশন লাইনে দাঁড়িয়ে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকেই খাবার না পেয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণায় ভুগেন।
এমইউ/জেএইচ/আরআইপি