মেয়র আনিসুল হকের বাসায় প্রধানমন্ত্রী
সদ্য প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের বাসায় গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে তিনি মেয়রের বাসায় যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র আনিসুল হকের বাসায় বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
এর আগে শনিবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে মেয়রের মরদেহ বহনকারী যাত্রীবাহী বিমানটি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর দুপুর ১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় ফ্লাইটটি।
পরে সেখান থেকে তার মরদেহ বনানীতে তার বাসায় নেয়া হয়। এ বাসা থেকেই গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্য যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। প্রায় সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।
শনিবার দুপুরে তার মরদেহ বাসায় নিয়ে আসার পর এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাসায় ভিড় জমান বন্ধু, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। প্রিয় নগরপিতাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ভিড় করেন অনেক নগরবাসী।
আনিসুল হকের মরদেহ বিকেল তিনটার দিকে রাখা হবে আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন আনিসুল হক। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
এএসএস/এসএইচএস/এমএস