প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি সনাতনী চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা অক্ষুন্ন রাখতে চিকিৎসার নামে প্রতারণাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিকল্প চিকিৎসার সাথে জড়িত সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার সচিবালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড এবং বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড ’র সাথে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।
বিকল্প চিকিৎসার নামে চটকদার বিঞ্জাপনের মাধ্যমে প্রতারণার বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, আধুনিক চিকিৎসায় যেমন ভুয়া চিকিৎসক ও ক্লিনিক রয়েছে, তেমনি হোমিওপ্যাথি এবং ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়ও বিভিন্ন কৌশলে মানুষকে প্রতারিত করা হয়।
নাসিম বলেন, সনাতনী চিকিৎসার উপর মানুষের বিশ্বাস অক্ষুন্ন রাখতে এই অপচিকিৎসকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় রেলমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সৈয়দ মন্জুুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড’র চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়সহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এবং ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নাসিম বলেন, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা এই উপমহাদেশের মানুষের কাছে হাজার বছর ধরে বিশ্বস্ততা অর্জন করে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসার এই বিকল্প পদ্ধতিগুলোর বিকাশে যথেষ্ট আন্তরিক।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ২৯৮ জন হোমিও চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। নতুন নতুন হোমিওপ্যাথিক কলেজ নির্মাণ করেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নাসিম বলেন, দেশে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে এর যথাযথ পরিচর্যার সময় এসেছে। ভারতে এখন নতুন প্রযুক্তির সহায়তার বিকল্প চিকিৎসার উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে প্রয়োজনে ভারতের সহায়তা নিয়ে বিকল্প চিকিৎসার উন্নয়নে সরকার আরো কাজ করে যাবে। ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে বিকল্প চিকিৎসার উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এর বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে।
এসএইচএস/আরআই