‘বিবাহিত ৭২ শতাংশ নারী কমপক্ষে একবার সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন’
দেশের বিবাহিত নারীদের ৭২ শতাংশই জীবনে অন্তত একবার সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন। অথচ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পঞ্চম অংশে লিঙ্গসমতা এবং নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা দূর করার কথা বলা হয়েছে। তাই লক্ষ্য অর্জনে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন, গবেষক ও নাগরিক সমাজের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
ওশি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য উল্লেখ করে নারী নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। এ সময় নারী শ্রমিক নেতা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সমাবেশে আলোচক ছিলেন লেবার অ্যান্ড ইনফরমাল ইকোনমি (এলআইই) ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর ফরিদা খানম, ওশি ফাউন্ডেশনের হোম বেইজড প্রজেক্ট ম্যানেজার আরিফা আস আলম, বেসরকারি সংস্থা কাপ এবং গ্রাসরুটসের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে সভা প্রধান ছিলেন ওশি চেয়ারপারসন সাকি রিজওয়ানা।
ফরিদা খানম বলেন, বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী দেশের বিবাহিত নারীদের মধ্যে ৭২ শতাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন। এ পরিসংখ্যান বলে দেয় দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র কতটা ব্যাপক ও ভয়াবহ। তাই নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সে নীতি গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও গাজিপুর জেলার হোম বেইজড শ্রমিকরা। তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ এবং অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ কর্মক্ষেত্রের কথা বলেন এবং সরকারি নীতি, সহায়তা ও বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রণয়নের দাবি জানান।
এফএইচএস/এএইচ/জেআইএম