আনন্দমিছিলে শিক্ষার্থীরাও
আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে দলে দলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভাস্থালে প্রবেশ করছে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দুপুর ১২টার পর থেকেই সভাস্থলে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় এই আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার রহিমা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি শোভাযাত্রা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসে পৌঁছায় টিএসসির দিক থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে প্রবেশের রাস্তায়।
এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থী মায়মন আক্তার বলে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই আনন্দে আমরা শোভাযাত্রা করছি। আমাদের সঙ্গে আমাদের ম্যাডামরাও আছেন।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের এক শিক্ষার্থী ‘পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারে না’ স্লোগান লেখা একটি প্ল্যাকার্ড হাতে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
ওই শিক্ষার্থীর পাশ থেকে আরেকশিক্ষার্থী বলন, জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের মুক্তির পথ দেখিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ওই সাহসী ভাষণের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল পাওয়া।
শোভাযাত্রায় ইউনিফর্ম পরিহিত শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ৭ মার্চের ভাষণের বিভিন্ন বাক্য লেখা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন রয়েছে। কেউ কেউ শোভাযাত্রা থেকে বাদ্যযন্ত্রও বাজাচ্ছেন।
জমিলা খাতুন লালবাগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আনন্দ শোভাযাত্রায় এসেছে ইয়াসমিন। ইয়াসমিন বলেন, আমরা শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে শোভাযাত্রা বের করে এখানে এসেছি। আমাদের সঙ্গে আমাদের শিক্ষকরাও আছেন।
এমএএস/এসআই/আরএমএম/এনএফ/এমএস