ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কোকেন পাচারের ট্রানজিট ছিল বাংলাদেশ : মইনুল খান

প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, ৩০ জুন ২০১৫

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেছেন, কোকেন অত্যন্ত ব্যয়বহুল তাই এটি বাংলাদেশের জন্য আসেনি। তবে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল পাচারকারীরা।
 
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখি তেলের চালানের কোকেন পাওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার দুইজনকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এবিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
 
ড. মইনুল খান বলেন, পাচারের জন্য ইংল্যান্ড, বলিভিয়া, ভারত ও বাংলাদেশ এই চারটি দেশেকে ব্যবহার করছে ওই চক্রটি। কোকেন বেশি ব্যবহৃত হয় নর্থ ও ওয়েস্ট ইউরোপীয় দেশগুলোতে। তবে বড় ড্রাগ ডিলার ছাড়া এতো বড় ক্রাইম করা সম্ভব না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
 
এ ঘটনায় আটক হওয়া দুজন হচ্ছেন মোস্তফা কামাল ও আতিকুর রহমান খান। তাদের কাছ থেকে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ডকুমেন্টস জব্দ করা হয়েছে।
                                                    
মহাপরিচালক বলেন, ইংলান্ড প্রবাসী বকুল নামে এক বাংলাদেশি কোকেনের চালানটি বাংলাদেশে মোস্তফা কামালকে পাঠিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম থেকে খালাস করতে না পেরে মোস্তফা কামাল যোগাযোগ করেন মন্ডল গ্রুপের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কাজের সঙ্গে জড়িত থাকা আতিকের সঙ্গে। পরে তারা দুজনে সমন্বয় করে বন্দরের শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে ভারতে থাকা অপর সিন্ডিকেটের সদস্য রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করে চালানটি পাচারের জন্য।
 
তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে। মইনুল খান আরো বলেন, চট্টগ্রামে কোকেন জব্দের ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের চাপ এলেও রাষ্ট্রের স্বার্থে কোনো চাপের কাছে মাথা নতো করবো না।
 
প্রসঙ্গত, এর আগে সূর্যমুখি তেল আমদানির ঘোষণা দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া থেকে একটি কন্টেইনারে ১০৭ ব্যারেল তেল আমদানি করে চট্টগ্রামের খান জাহান আলী লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে রোববার কন্টেইনারের ৯৬ নম্বর ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব খুঁজে পায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগ।

এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটি নিশ্চিত হতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অধিদফতরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক হোসেইন আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
এআর/বিএ/পিআর