ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাড্ডায় নাসিম হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪০ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৭

রাজধানীর বাড্ডায় বিপিএল খেলা ঘিরে চলা রমরমা জুয়ার আসরে বাধাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাসিম আহমেদ এমাজউদ্দিন (২৪) নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

সোমবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আলী আহমেদ সাইফ উদ্দীন। মামলা নং ৭। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ৩০২/৩৪ ধারায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি আসিফ শিকদার (২১)। তার বাবার নাম সবুজ শিকদার, বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার মঙ্গলচি গ্রামে। দ্বিতীয় আসামি রজমান আলী (৩৮) ও তৃতীয় আব্দুর রশিদ (৫০)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন পোস্ট অফিসের গলির ৩৭৫ নং দাগের ৪ নং নিজ বাসার সামনে নাসিমের গলায় ও কোমড়ে ৩টি স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন গুলশান বিভাগ পুলিশের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ, বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার আশরাফ আলী ও বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী। পরবর্তীতে র‌্যাব, পিবিআই, ডিবি পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে।

নিহতের ছোট ভাই ইম্পেরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নাবিল আহমেদ জানান, বিপিএল খেলা নিয়ে বোর্ড (ক্যারাম বোর্ড) ঘরে রমরমা জুয়ার আসর চলছিল। সেখানে সন্ধ্যার পর ক্যারাম খেলতেন ভাই নাসিম। গত রাতে নাসিম ক্যারাম খেলতে গিয়ে দেখেন বিপিএলের ম্যাচ নিয়ে মোটা অঙ্কের জুয়া চলছিল। এতে বাধা দেন তিনি। বাধার মুখে রমজান আলী, আসিফ, রশিদ, শহীদুল ও রফিক নামে স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় নাসিমের। ঘটনা হাতাহাতি পর্যন্তও গড়ায়।

নাবিল জানান, বিষয়টি আপস করতে গেলে রমজান ও রশিদ মারধর করেন নাসিমের বাবাকে। মহল্লার বড়ভাইরা বিষয়টি মীমাংসা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আজ (সোমবার) সকালে ভাইকে বাসার নিচে ছুরিকাঘাত করে আসিফ, সহযোগিতা করে রমজান ও রশিদ।

জেইউ/বিএ

আরও পড়ুন