শাহজালালে ফের ‘স্বর্ণমানব’ আটক
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটে আগত এক ‘স্বর্ণমানব’ আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা দল। আটক স্বর্ণ মানবের নাম সোহেল রানা (৩০)। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর জান শরীফের ছেলে তিনি। তার পাসপোর্ট নম্বর : বিএফ ০৯৮০৫৭৪।
শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ৭ টায় শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়া বিমানের জি ৯৫১৩ ফ্লাইটে শাহাজালালে অবতরণ করেন ওই যাত্রী। শরীরের অভ্যন্তরে থাকা স্বর্ণ তিনি তার রেক্টামে বহন করছিলেন। শুল্ক গোয়েন্দা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই যাত্রীকে নজরদারিতে রাখে।’
তিনি বলেন, ‘কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করে শুল্ক গোয়েন্দার দল। স্বর্ণমানবের চোখে কালো দাগ ও হাঁটাচলায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে শুল্ক গোয়েন্দার সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়। তবে স্বর্ণমানব কোনোভাবে তার পেটে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করছিলেন না। পরে তাকে শুল্ক গোয়েন্দার অফিস কক্ষে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বারংবার তার কাছে স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করতে থাকেন।’
আটক ব্যক্তির শরীরে স্বর্ণ থাকার ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দার কাছে নিশ্চিত তথ্য ছিল। যাত্রীকে উত্তরার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এ নিয়ে এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে যাত্রীর তলপেটে স্বর্ণের অস্তিত্ব সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হয় শুল্ক গোয়েন্দার দল। কর্তব্যরত ডাক্তারও এটি উল্লেখ করেন। এরপর বিমানবন্দর এনে স্বর্ণমানবকে কলা ও প্যাকেট জুস খেতে দেয়া হয়। বিমানবন্দরে রক্ষিত লুঙ্গি পরে শুল্ক গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে টয়লেটের অভ্যন্তরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে ০২টি স্বর্ণবার বের করে আনেন এবং পরে তার হাতব্যাগের ভ্যাসলিনের কৌটার ভেতর থেকে আরও ২ টি স্বর্ণবার ও প্যাকেট থেকে ১০৯ গ্রাম অলংকার পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, যাত্রী ২টি করে গোল্ডবার টেপ মুড়ে রেক্টামে প্রবেশ করান। এসব স্বর্ণ শারজাহ এয়ারপোর্টের ভেতরে নিজেই পুশ করেন।
পাসপোর্ট পরীক্ষায় দেখা যায়, এ বছর তিনি ৯ বার শারজাহ ভ্রমণ করেছেন। তবে প্রতিবার স্বর্ণ বহন করেছিলেন কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। আটক ৪টি স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকারসহ স্বর্ণের পরিমাণ ৫৭৪ গ্রাম। মূল্য প্রায় ২৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর মোশারফ হোসেন (৪২) নামের এক স্বর্ণমানবকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দারা।
জেইউ/এসএইচএস/আইআই