ওপরে মারামারি চলছে, তাড়াতাড়ি যান বলে পালায় দুর্বৃত্ত
রাজধানীর কাকরাইলে মা-ছেলেকে হত্যার ঘটনাটি ঘটে মাগরিবের নামাজের সময়। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, কয়েকজন দুর্বৃত্ত এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার মায়ের নাম শামসুন্নাহার ও ছেলের নাম শাওন। করিম টাওয়ারের মালিক আবদুল করিমের স্ত্রী শামসুন্নাহার। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের বিপরীত পাশের গলিতে (৭৯/১) আবদুল করিমের পাশাপাশি দুটি বাসা রয়েছে। এর একটির পঞ্চম তলায় থাকত আবদুল করিমের পরিবার। তবে দুই বাসাতে প্রবেশের পথ একটিই।
পাশের বাসার নিচে একটি গার্মেন্ট কারখানা রয়েছে। কারখানার কর্মচারী স্বপন জানান, ওই বাসার দারোয়ানের চিৎকার শোনে আমরা বাইরে আসি। এরপর ওপরে যেয়ে দেখি তারা (মা-ছেলে) পড়ে আছে। দারোয়ান বলল তিনি ওপরে ওঠার সময় অপিরিচিত একজনকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখতে পান। তখন ওই অপরিচিত লোক দারোয়ানকে বলেন, ওপরে মারামারি চলছে, তাড়াতাড়ি যান। এ কথা বলে দ্রুত পালিয়ে যান ওই অপরিচিত লোকটি।
আবদুল করিমের বাসায় বাবা-মার সঙ্গে ভাড়া থাকে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। সে বলছিল, আমি বাইরে হাঁটতে গিয়েছিলাম। তখন মা আমাকে ফোনে বলল শিক্ষক আসছে বাসায় আসো, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে যখন বাসায় যাই, তখন দারোয়ান আবদুল নোমান কান্নাকাটি করছিলেন। তিনি (দারোয়ান) বলছিলেন- নামাজে গিয়েছিলাম। এসে দেখি কয়েকজন ঢুকে মেরে চলে গেছে।
গৃহকর্মী রাশেদা বেগম বলেন, ‘আমি সন্ধ্যায় বাসায় কাজ করতে আসি। ম্যাডাম নিজেই গেট খুলে দেন। এরপর আমি রান্নাঘরে থালা-বাসন মাজতে থাকি। এ সময় রান্নাঘরের দরজা কে যেন আটকে দেয়। এরপরই চিৎকারের শব্দ পাই। পরে দারোয়ান এসে দরজা খুলে দিলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দেখতে পাই।’
ঘটনা সম্পর্কে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, বাড়িটির বেডরুমে ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ এবং সিঁড়িতে তার সন্তানের মরদেহ পাওয়া যায়। বাসার দারোয়ান ও কাজের মেয়েকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশের রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মইনুল এবং ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. শফিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবগত বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এআর/জেডএ/এমএস