অজ্ঞান মাকে নিয়ে কোথায় যাব কী করব?
‘রক্তাক্ত মাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কেলেজ হাসপাতালে আসি। এখানে ঝামেলা চলছিল। মাকে ভর্তি করতে পারিনি। চলে যাই মিডফোর্ড হাসপাতালে। সেখানেও ভর্তি নেয়নি। ফের বাধ্য হয়ে বিকেল সোয়া ৪টায় আসি ঢামেকের জরুরি বিভাগে। কিন্তু ভর্তি নিল না। আমরা অজ্ঞান মাকে নিয়ে কোথায় যাব কী করব?
এই প্রশ্ন মেয়ে জেসমিন আক্তারের। রোববার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এই প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। সিএনজির ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারান মা নূরজাহান। দ্রুত নিয়ে আসি ঢাকায়। এরপর হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছি।
জেসমিন আক্তার বলেন, এখানে কী ঝামেলা জানি না। রোগীকে ভর্তি নিচ্ছেই না। আমার মতো অসংখ্য রোগী এখান থেকে ফেরত যাচ্ছে।
একইভাবে অজ্ঞানপার্টির খপ্পড়ে পড়ে জ্ঞান হারানো মন্টু মিয়াকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে বিপাকে পড়েন বেয়াই মোসলেম।
মানিকগঞ্জের শিবালয় থানা এলাকার এ বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, রাজধানীর ফুলবাড়িয়া এলাকায় কাজে আসছিলেন বেয়াই মন্টু মিয়া। এখানে বাসে কীভাবে যেন অজ্ঞানপার্টির খপ্পড়ে পড়ে জ্ঞান হারান। এরপর খবর পেয়ে আমি তাকে নিয়ে ঢামেক জরুরি বিভাগে আসি।
তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ঝামেলা বুঝি না। চিকিৎসা চাই। নইলে বেয়াইকে বাঁচানো যাবে না। সেই দুপুরে জ্ঞান হারাইছে আর ফেরেনি জ্ঞান। এখানে আর ভর্তি নেবেই না। ফেরত যাচ্ছি। অন্য কোনো হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন নওশাদ নামে এক রোগীর মৃত্যুর পর ডাক্তারদের মারধর করে রোগীর স্বজনরা। এ খবরে আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে তাদেরও মারধর করে তারা। এ ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ও চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। এতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন জেলা শহর থেকে আসা সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা।
জেইউ/জেডএ/আইআই