আর পারল না রত্না, ইমন এখনও ধুকছে
রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ায় আল-আমিন রোডের বাসায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ রত্না বেগম যুদ্ধটা আর চালিয়ে যেতে পারলেন না।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গেল সোমবার রাত ৩টার দিকে দগ্ধ হয়েছিলেন রত্নসহ সাতজন।
অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসা চলছিল তার।
এই ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক জানান, দগ্ধদের সকলের নিবিড় চিকিৎসা চলছে। সকলেরই শ্বাসনালী পুড়েছে। তবে দু’জনের অবস্থা বেশি খারাপ ছিল। আজ সকালে রত্নার মৃত্যু হয়।
জয়নাল মিয়া নামে রত্মার এক স্বজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এক সঙ্গে একটি দরিদ্র পরিবারে এভাবে দুর্যোগ নেমে আসবে ভাবা যায় না। আল্লাহই জানে বাকিদের দশা কী হবে।
‘আজ রত্না চলে গেল, কাল হয়তো অন্য কেউ। ইমনের অবস্থাও খুব খারাপ। ডাক্তাররা চিকিৎসা করছেন, কিন্তু বাঁচার আশা ক্ষীণ। তাদের আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে।’
গত ২৪ অক্টোবর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. আবুল কালাম বলেছিলেন, দগ্ধ আটজনের মধ্যে কারোরই অবস্থা ভালো নয়। চারজন বেশি দগ্ধ হয়েছেন। সবারই শ্বাসনালী কম বেশি পুড়েছে। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়া ভালো নয়। চারজনকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রাখা হয়েছিল। দুজনকে সরিয়ে কেবিনে নেয়া হয়েছে। রত্মা ও ইমনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
ওই ঘটনায় দগ্ধ অন্যরা হলেন- মো. আলমগীর (৪৫), তার স্ত্রী ফেরদৌসী (৩৫),শিপন (১২), তাহসিন (২) এবং ভাতিজা তোফায়েল (২৪) ও তার স্ত্রী রত্না (১৭) এবং সাবলেট ভাড়াটিয়া আরিফ (৩৪)।
রত্নারা দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। বাসাটিতে ঘর ছিল মোট ৪টি। সেখানে তিনটি রুমে ভাড়া থাকতেন আলমগীর হোসেনের সাত সদস্যের পরিবার। ওই বাসায়ই ৪ নম্বর ছোট একটি কক্ষে সাবলেট থাকতেন আরিফ।
এনএফ/এমএস