রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাজ্যের আরও ১২ মিলিয়ন পাউন্ড
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহায়তার পথপ্রদর্শক হিসেবে যুক্তরাজ্য পূর্বের ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ডের সঙ্গে আরও ১২ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত ইউকে সহায়তার পরিমাণ ৪৭ মিলিয়ন পাউন্ড। মঙ্গলবার ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা আন্তর্জাতিক সহায়তাবিষয়ক সম্মেলনের প্রাক্কালে যুক্তরাজ্য মোট সহায়তার এক-তৃতীয়াংশের বেশি সাহায্য দিয়েছে। ইউকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল অন্য রাষ্ট্রদের যুক্তরাজ্যের সাহায্যের ধারা অনুসরণ করার জন্য আহ্বান করেন।
বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘ইউকে এইড বাস্তুহারা মানুষদের সহায়তা করছে। অন্যান্য দেশ যুক্তরাজ্যের পথ অনুসরণ করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের পৃথিবীতে যৌন নির্যাতন, জাতিগত নিধন এবং খাদ্য সংকটের কোনো জায়গা নেই।’
দেশটির ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস মন্ত্রী মার্ক ফিল্ডকে উদ্ধৃতি করে বলা হয়, ‘জেনেভায় আমি যুক্তরাজ্যের অতিরিক্ত ১২ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার কথা ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত। আমি আশা করব, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং অন্যান্য দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এক হয়ে এই মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় এগিয়ে আসবে।’
বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের সহায়তা তুলে ধরা হয়। সহায়তার মধ্যে রয়েছে- এক লাখ ৭৪ হাজার মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য; ৬০ হাজার শিশু এবং ২১ হাজার গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য; এক লাখ ৩৮ হাজারের অধিক মানুষের জন্য নিরাপদ পানি, জরুরি পয়ঃনিষ্কাশন; এক লাক ৩১ হাজার মানুষের জন্য সাবান, রান্নার সরঞ্জাম, পানির ক্যান; এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য জরুরি আশ্রয় এবং সাড়ে চার লাখ মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা করার সাহায্য; ৩৫ হাজার নারী ও শিশুর পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক সাহায্য; মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ১০ হাজার এবং যৌন নির্যাতিত দুই হাজারের বেশি নারীর উপদেশমূলক সহায়তা; ৫০ হাজার গর্ভবতী নারীর চিকিৎসা।
এইউএ/বিএ