ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা পেল সংসদ

প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪

অবশেষে পাস হলো বহুল আলোচিত ‘সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪’। এই বিল পাস বা সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদ ফিরে পেল বিচারকদের ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসন করার ক্ষমতা। এখন বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর কার্যকর হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় বিলটি পাস করার জন্য সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে তা জনমত যাচাইয়ের জন্য ভোটে দেওয়া হলে তা নাকচ হয়ে যায়। এরপর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে কণ্ঠভোটে ও পরে বিভক্তি ভোটে পাস হয় ষোড়শ সংশোধন বিল।
 
বিল পাসের সময় অধিবেশনে সভাপতিত্বে করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী । সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এই সময় উপস্থিত ছিলেন।  
 
এই বিলে ‘অসদারচণ ও অসামর্থ্যের’ অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারপতিদের অপসারণের বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে ষোড়শ সংশোধনীর আলোকে তদন্ত ও প্রমাণ বিষয়ক আলাদা একটি আইন প্রণয়নেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ সংশোধনীর ফলে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা ৪০ বছর পর আবার সংসদের হাতে ফিরল। এর আগে বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের জানুয়ারি পর্যন্ত তা বহাল ছিল।

সন্ধ্যায় বিল উত্থাপনের পর তা যাচাইয়ে নোটিশ দেন, সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী, কাজী ফিরোজ রশিদ, আবু হোসেন বাবলা, জিয়াউদ্দিন বাবলু, রওশন আরা মান্না, হাজি সেলিম, মাঈন উদ্দিন খান বাদলসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য।

সংসদ সদস্যরা বিলটির বিষয়ে কেন নোটিশ দিয়েছেন তারও ব্যাখা দেন। স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর আলোচনার জন্য নোটিশদাতার তিন মিনিট করে সুযোগ দেন।

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘যেহেতেু এই বিলটি স্পর্শকাতর, বিচারকদের সম্মান, বিচার ব্যবস্থা এবং দেশের মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে, সে কারণে এটা জনমত যাচাইয়ে দেওয়া প্রয়োজন।’

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘বিলটি পাসের আগে আরো যাচাইবাছাই করা প্রয়োজন। দেশে অনেক  আইনজ্ঞ রয়েছেন, বিজ্ঞ বিচারপতি রয়েছেন, তাদের সমন্বয়ে বিলটিকে আরো নিখুঁত করা যায় কিনা এ জন্য এখনই পাস না করে আরো কিছুটা সময় নেওয়া যেতে পারে।’
 
মাঈন উদ্দিন খান বাদল বলেন, ‘যারা সংবিধান রচনা করেছিলেন, তারা কেন শুরুতেই একটি ভুল করেছিলেন। সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে সর্বপ্রকার ক্ষমতা দিয়েছিলেন ঠিকই, তবে অভিশংসন শব্দটি জুড়ে দেয়নি। এই বিলটি যেহেতু খুবই গুরুত্বপূণর্, সেহেতু ধীরে-চিন্তা করা উচিৎ।’