দু’দিনের বৃষ্টির পর স্বাভাবিক হচ্ছে জীবনধারা
নিম্নচাপের প্রভাবে হেমন্তে টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছিল ঢাকাসহ সারাদেশের কর্মজীবী মানুষ। তবে আসার কথা হলো, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। রোববার ভোর থেকেই দেখা মিলেছি সূর্যের হাসি। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে কমতে শুরু করেছে বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতাও।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ভোর থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি। হেমন্তের এমন বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ডুবে যায়। দেখা দেয় চরম দুর্ভোগ। তবে গত রাত থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় জমে থাকা পানি নেমে গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় অবস্থায় ফিরছে ডুবে যাওয়া সড়কগুলো।
রাজধানীর লালবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে এসব এলাকার বিভিন্ন সড়ক গতকাল ভ্যানগাড়ি দিয়ে পাড় হলেও আজ পানি নেমে যাওয়ায় তা স্বাভাবিক হয়ে ওঠেছে। অন্যদিনের মতো পায়ে হেটে কিংবা রিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে যাতায়াত করছেন। বাস স্টপগুলোতেও মানুষের ভীড় রয়েছে।
আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আতাউর রহমান জানান, শনিবার তিনবার চেষ্টা করেও গাড়ি নিয়ে বের হতে পারেননি। নিউমার্কেটের সামনে বৃষ্টির পানি এতটাই বেশি জমেছিল যে, চোখের সামনে কয়েকটি গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি। এখন ওই স্থানে পানির ছিটেফোঁটাও নেই।
লালবাগের বকশীবাজার বোর্ড অফিসের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, গতকাল সেখানকার অধিকাংশ রাস্তা নৌকা চলার মতো অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু আজ (রোববার) পানি নেমে গেছে। তবে পুরান ঢাকার কিছু এলাকার অলিগলিতে এখনও বৃষ্টির পানি জমে আছে।
রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও গত কয়েক দিনের দুর্ভোগ কেটে স্বাভাবিক হয়ে ওঠেছে জনজীবন। তবে খানাখন্দে ভরা বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আজ (২২ অক্টোবর, রোববার) সকালেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আগামী ২/৪ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে, ২৭২ মিলিমিটার। এ ছাড়া গতকালের চেয়ে আজকের আবহাওয়া সম্পূর্ণ বিপরীত। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে সিলেট বিভাগ দিয়ে অতিক্রম করছে।
এমইউ/আরএস/এমএস