ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাংলাদেশের প্রতি নেপালের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ২৩ জুন ২০১৫

নেপালে সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর দ্রুত সাড়া দেয়ায় এবং সহযোগিতা করায় বাংলাদেশের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা কৈরালা।মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের পক্ষে এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নেপালে গত ২৫ এপ্রিল ভয়াবহ ভূমিকম্পে আট হাজারের বেশি লোক নিহত এবং সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ দুর্যোগের পর বাংলাদেশ দ্রুত সে দেশে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল, ওষুধ, খাবার পানি ও তাঁবুসহ ত্রাণসামগ্রী এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম পাঠায়।

নেপালে ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশের সহায়তার জন্য সুজাতা কৈরালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে প্রতিবেশীদের সহায়তা করা বাংলাদেশের কর্তব্য।

বৈঠকে নেপালের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান এবং নেপালী কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সদস্য সুজাতা বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দক্ষতার প্রশংসা করেন এবং ভূমিকম্পের সময় ও পরের অবস্থা সম্পর্কে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

তিনি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো পুনর্গঠনের জন্য নেপাল সরকার, চীনা চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও একটি এনজিও’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে নেপালের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক সম্পর্কের বিষয়ে অধিক মূল্য দেই এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।

সুজাতা কৈরালা বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত মোটর ভেহিকেল চুক্তির উল্লেখ করে বলেন, চারটি দেশই এ চুক্তির ফলে ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের ফলেই এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চার দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং নেপালের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে বাংলাদেশের সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারে।

শেখ হাসিনা বৈঠকে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, অঞ্চলের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই তার সরকারের লক্ষ্য।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরএস/আরআইপি