ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অক্টোবরেই খুলবে মৌচাক-মালিবাগ উড়াল সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৭ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

রাজধানীর মৌচাক-মালিবাগ সমন্বিত উড়াল সড়কের মূল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। শেষ সময়ের ধোয়ামোছা, রঙ, বিদ্যুতের খুঁটি ও বাতি লাগানোর কাজও শেষ। চলতি মাসের (অক্টোবর) মাঝামাঝি সময়ে উদ্বোধনের কথা থাকলে তা হয়নি। তবে সব কাজ শেষ হওয়ায় বহুল প্রতীক্ষিত এ উড়াল সড়কটি চলতি মাসেই খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল।

দেশে এখন পর্যন্ত যে ক’টি উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, তার মধ্যে এটি দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে দ্বিতীয়। ২০১১ সালে একনেকে ফ্লাইওভারটি নির্মাণে প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়। ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

ফ্লাইওভারটির বিভিন্ন অংশ ইতোমধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, নিউ ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত এবং পরের ধাপে বিএফডিসি মোড় থেকে কারওয়ানবাজারের অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে (অক্টোবর) মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার অংশ খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।

উড়াল সড়কটির বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও এ প্রকল্পের পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল জাগো নিউজকে বলেন, জুন মাসে উড়াল সড়কের মূল কাজ (মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার) শেষ হয়েছে। শেষ সময়ের ধোয়ামোছার কাজও শেষ। আমাদের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আশা করছি চলতি মাসের (অক্টোবর) মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন সেদিন এটা উদ্বোধন করা হবে।

বহু প্রতীক্ষিত এ উড়াল সড়কের কাজে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। প্রকল্পটির কাজ চলার সময় তীব্র যানজট, জলজট, কাদার কারণে মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, রাজারবাগ এলাকার বাসিন্দাদের উন্নয়ন ভোগান্তির জ্বালা পোহাতে হয়েছে। তবে এত ভোগান্তির পরও পুরোপুরি প্রস্তুত উড়াল সড়কটি উদ্বোধন নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

প্রতিদিন এই রাস্তায় চলাচল করেন হাবিবুর রহমান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ফ্লাইওভারটি নির্মাণ কাজের জন্য আমাদের দীর্ঘদিন সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে সেই ভোগান্তির অবসান ঘটবে উদ্বোধনের মাধ্যমে। এলাকায় যানজট-জলজট না থাকলে আমরা এতদিনের সীমাহীন ভোগান্তির কথা ভুলে যাব, পাশাপাশি স্বস্তি ফিরে আসবে এলাকার মানুষদের।

ফ্লাইওভারটিতে রঙের কাজের ফিনিশিং দিচ্ছিলেন এরশাদ আলী নামের একজন শ্রমিক। তিনি বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী আমরাসহ অন্য শ্রমিকরা তাদের সব কাজ শেষ করেছে। এখন শেষ হওয়া কাজের ওপর শেষ সময়ের হাত ঘুরানোর কাজ করছি। এছাড়া কিছু শ্রমিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। সব ধরনের ভারি কাজ শেষ হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ কিলোমিটার লম্বা ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। প্রথমে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরে নকশায় পরিবর্তন আনাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যয় বাড়তে হয়েছে। সর্বশেষ উড়ালসড়কটির নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় এক হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায়।

এএস/আরএস/এমএস

আরও পড়ুন