ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আমৃত্যু কারাদণ্ডে সাঈদী

প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় চূড়ান্ত রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার সকাল ৯টায় এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখার ৭ মাস পর বুধবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আদালত। এ মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গত ১৬ এপ্রিল যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে সাঈদীর মামলাটি সিএভিতে রাখেন আপিল বিভাগ। দীর্ঘ ৮ মাসে ৪৯ কার্যদিবস এ মামলার ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিতদের করা আপিলের মধ্যে সাঈদীর মামলাটি দ্বিতীয় হিসেবে রায় ঘোষণা করা হল।

এর আগে গণজাগরণ মঞ্চের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার দণ্ড বাড়িয়ে ফাঁসির আদেশ দিয়ে আপিল নিষ্পত্তি করে রায় কার্যকর করা হয়েছে।

গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এর এক মাস পর ২৮ মার্চ আপিল করে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২০১১ সালের ১৪ই জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এবং একই বছর অক্টোবরে তার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

এরপর গত বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারি মৃত্যু দণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এর মধ্যে একাত্তরে দুটি হত্যাকাণ্ডের দায়ে আলাদা দুটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়।

ঐ সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আপিল করেছিলেন জামায়াতের এই নেতা। আর রাষ্ট্র পক্ষ বাকি ছয়টি অভিযোগে সাজা চেয়ে আপিল করে, যেগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলেও ট্রাইব্যুনাল সাজা দেয়নি।

এর আগে ট্রাইব্যুনালে মি. সাঈদীর মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পরপর সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী তখন সংঘাতে ৩৭ জন নিহত হয়েছে। যদিও জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছিল নিহতের সংখ্যা ৭৫ জনের মতো।

এবার সে বিষয়টিকে বিবেচনা নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বা ডিএমপি। সংস্থাটির মুখপাত্র মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, পরিস্থিতির আলোকেই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।