জঙ্গি মারজানের বোনকে আত্মসমর্পণে মা-বাবাকে যশোর নেয়া হচ্ছে
যশোরে পুলিশের ঘিরে রাখা বাড়িতে থাকা জঙ্গি মারজানের বোনকে আত্মসমর্পণ করাতে তার মা-বাবাকে পাবনা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে রোববার মধ্য রাত থেকে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড এলাকার একটি চারতলা বাড়ি ঘিরে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ বাড়িতে থাকা জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালেও সে সাড়া দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা ভালো কাজ করছে। এজন্য জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। আমাদের পুলিশ মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করছে। ঢাকা থেকে বাংলাদেশে চতুর্দিকে বিস্ফোরকগুলো জঙ্গিরা বিভিন্ন স্থানে মজুদ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এগুলো পুলিশ, র্যাব, আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী একের পর এক উদ্ধার করছে।’
তিনি বলেন, ‘যশোরে যে ঘটনাটা ঘটেছে…সেই ভয়ঙ্কর জঙ্গি মারজান, যিনি হলি আর্টজানের হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই মারজানের বোন যশোরের একটি বাড়িতে অবস্থান করছে, আরেক জঙ্গি সাগরের স্ত্রী হলো মারজানের বোন। আমরা নিশ্চিত হয়েছি তার কাছে কিছু বিস্ফোরক রয়েছে, কিছু বোমা রয়েছে। সেগুলো সুইসাইডাল অ্যাটাক করার বোমা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাড়িটি ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘তাকে (মারজানের বোন খাদিজা) আমরা আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান করছি, কিন্তু এখনও সারেন্ডার করছে না। তার বাবা-মাকে আনা হচ্ছে। সারেন্ডার করানোর জন্য সর্বশেষ পর্যন্ত আমরা দেখব। কোন হতাহত হতে দিতে চাই না। তাদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণে আহ্বান করা হবে। আমাদের পুলিশ মাইকে তাকে সারেন্ডার করার জন্য বলছে।’
‘যদি (আত্মসমর্পণ) না করানো যায় তখন আমরা শেষমেষ চিন্তা করব কী করা যায়।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এদের (জঙ্গি) শক্তি-সামর্থ্য যা ছিল সব আমরা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। এখন যে ছিটেফোঁটা রয়েছে...তারা বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয়ের খোঁজে ঘুরছে। তাদের বিস্ফোরকগুলো সেইফ করে গোপনে রাখার চেষ্টা করছে। সেগুলো আমাদের গোয়েন্দারা বের করে নিয়ে আসছে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের জনগণ এগুলো পছন্দ করছে না বলে খবরগুলো আমরা পাচ্ছি।’
আরএমএম/একে/জেআইএম