ভ্যাপসা গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি
হঠাৎ থেমে যায় ঢাক-ঢোল ভেপুসহ নানা বাদ্যবাজনার শব্দ। থমকে দাঁড়ায় হাতি-ঘোড়ার বহর। বহরের গাড়িতে থাকা তরুণ-তরুণীরা এদিক-ওদিক দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে থাকেন। রাস্তায় বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও রিকশার জট লেগে যায়। একটি প্লাস্টিক কাগজ মাথায় দিয়ে মুখ লুকায় হাতির মাহুত।
এমন দৃশ্য সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার। তীব্র গরমের পর হঠাৎ বৃষ্টি নামায় এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। পর্যটন দিবস উপলক্ষে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা হাতিগাড়ির বহরসহ টিএসসি দিয়ে যাচ্ছিল। ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার ভয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা টিএসসির সামনের বিভিন্ন শেডে আশ্রয় নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কথা হয় পর্যটন দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী শারমিন আরা নামের এক তরুণীর সঙ্গে। বলেন, ‘ভ্যাপসা গরমে গতরাতে ঘুমাতে পারিনি। শোভাযাত্রায় আসার জন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠতে হয়েছে। এমন বৃষ্টিতে ভিজতে মন চাইছে।’ কথা বলার সময় ‘চল ভিজবি নাকি’ বলে পাশে থাকা এক বান্ধবীকে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন।
সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়েছিলেন রায়হান নামের এক ব্যবসায়ী। বৃষ্টি নামায় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ভিজতেছিলেন তিনি। আলাপকালে বলেন, ‘স্কুলে পূজার ছুটি চলছে। এখনকার ছেলে-মেয়েরা স্কুলের পড়ায় সারাদিন ডুবে থাকে। তাই ইচ্ছে করেই বৃষ্টি ভিজে আনন্দ উপভোগের সুযোগ দিচ্ছি।’
গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমে হাপিয়ে ওঠেছেন নগরবাসী। এক দিকে গরম অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা রীতিমত বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছিলেন। সকালেও গুমোট আবহাওয়া ছিল। পৌনে ৯টার দিকে আচমকা দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়। অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসে নগরবাসীর মাঝে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আজ (বুধবার) সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টা আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রী হ্রাস পেতে পারে।
এমইউ/আরএস/এমএস