দুদককে ইসির হুঁশিয়ারি
নির্বাচন কমিশনের কেনা ভোটারদের নিবন্ধন তথ্য যাচাইয়ের জন্য দুটি সফটওয়্যারের নথি চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই নথি পাঠাতে ব্যর্থ হলে তিন বছরের জেল-জরিমানারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে দুদক। সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিটি ইসি সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
দুদক সুত্রে জানা যায়, গত আগে দেড় বছর ধরে ইসির কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েও পর্যাপ্ত তথ্য পায়নি দুদক। চিঠিতে দুদক বলেছে, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদানের জন্য অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন সিস্টেম ও ভোটার রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম সফটওয়্যার কেনার ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। সফটওয়্যার দু’টো টাইগার (বিডি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কিনেছে ইসি।
২০১০ সালের ১৫ জুন সম্পাদিত ইসির চুক্তির প্যাকেজ নম্বর ৫(২) এর আওতায়, অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট মেচিং সিস্টেমের ডাটাবেজ ও সফটওয়্যার সাপ্লাই, ইনস্টলেশন ও কমিশনিং সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নথি এবং ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর সম্পাদিত চুক্তির প্যাকেজ নম্বর জি ৫(৩) লটের আওতায়, ভোটার রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম সিস্টেমের ডাটাবেজ ও সফটওয়্যার সাপ্লাই, ইনস্টলেশন ও কমিশনিং সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নথি চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪ সালে ১ জানুয়ারি নথি চেয়ে চিঠি দেয় দুদক। গত বছর ১৭ জুন পর্যন্ত কোনো রেকর্ডপত্র সরবরাহ করেনি ইসি।
দুদক আইনের ১৯(৩) ধারা অনুযায়ী, কেউ দুদকের কোনো নির্দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ বিবেচিত হবে। এ অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এর আগে দুদকের চাহিদা মতো নথি পাঠিয়েছি। এতে দুদক সন্তুষ্ট না হতে পারেন। আমরা তো আর আইনের ঊর্ধ্বে নই। আবার দুদকের চিঠি পেয়েছি সময় মতো নথি পাঠিয়ে দেব।’
এসকেডি/এমএস