গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দেবে র্যাব
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সব ধরনের হুমকির বিষয় বিবেচনায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সারাদেশে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দেবে র্যাব। র্যাব ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও রাজধানীসহ সারাদেশে ৩০ হাজার ৭৭টি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দেবে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১ টায় রাজধানীর বনানী এলাকার পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, আজ ষষ্ঠির মধ্য দিয়ে থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা। সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে র্যাব। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরাও মোতায়েন থাকবে। উৎসবমুখর পরিবেশে হিন্দু সম্প্রদায় যেন দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারেন সে জন্য র্যাবের নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে শত বছরের। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন সারাদেশে ২১ হাজারেরও কম পূজামণ্ডপ ছিল। এখন সেটা বাড়তে বাড়তে ৩০ হাজারের বেশি হয়েছে। এ থেকে দুইটি জিনিস প্রমাণিত হয়, একটি হলো মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের (বাংলাদেশে) এখানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়, হিন্দু সম্প্রদায়, খৃষ্টান সম্প্রদায়ের উৎসব পালন করা হয়। আমাদের লক্ষ্য সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সকল মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। পূজার দিনগুলো বিসর্জনের দিনগুলো শান্তিপূর্ণ হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, বিসর্জনের দিন আশুরাও রয়েছে। চ্যালেঞ্জ অনেকগুলো। সেপ্টেম্বর মাসে কোনো না কোনো জঙ্গি গ্রেফতারের অভিযান রয়েছে। সেগুলো অনেক সফলও হয়েছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ সময়ে র্যাবের অতিরিক্ত পরিচালক আনোয়ার লতিফ খান আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালন কমাণ্ডার মুফতি মাহমুদ খানসহ পূজা উৎদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেইউ/আরএস/আরআইপি