সিসি ক্যামেরার আওতায় রাজধানীর ২৩১টি পূজা মণ্ডপ
রাজধানীর ২৩১টি পূজা মণ্ডপ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেছেন, রাজধানীর ২৩১টি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশ। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী, গুলশান-বনানী, রামকৃঞ্চ মিশন ও ধানমন্ডির চার বড় মন্দিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া হবে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, রাজধানীতে এবার ৫টি বড় ও ৪টি মাঝারি পূজা মণ্ডপসহ ২৩১টি মন্ডপেই থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 'ক' ও 'খ' ক্যাটাগরির ৯টি পূজামণ্ডপে দেয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তা।
‘ক’ ক্যাটাগরিতে থাকছে ধানমন্ডি, ঢাকেশ্বরী, রামকৃষ্ণ মিশন ও গুলশান-বনানীর ৪টি পূজামণ্ডপ এবং 'খ' ক্যাটাগরিতে থাকছে সিদ্ধেশ্বরী, রমনা কালি মন্দির, উত্তরা, খামারবাড়ী, বসুন্ধরার সার্বজনীন ৫টি পূজামণ্ডপ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, উৎসব উদযাপন করবেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন। আর এতে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, সার্বজনীন উৎসবকে নিরবচ্ছিন্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুদৃঢ় পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
সবগুলো পূজামণ্ডপে দর্শনার্থীদের আর্চওয়ে গেট হয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রতিটি গেটেই দর্শনার্থীদের তল্লাশির আওতায় আনা হবে। সবক'টি মণ্ডপেই প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য বাঁশ দিয়ে আলাদা রাস্তার ব্যবস্থা থাকবে।
পূজা উৎসবকে ঘিরে নাশকতার কোনো আশঙ্কা রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে, এবং সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও নাশকতার বিষয়টি মাথায় রেখে পূজা মণ্ডপগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জননিরাপত্তার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান 'গুড গভর্নেন্স'। আমরা কাজ করছি। নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
জেইউ/এনএফ/পিআর/জেআইএম