ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পদ্মার ভাঙনে গৃহহীন ২২ হাজার পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পালেরচর-কুন্ডেরচর-বিলাসপুর-মোক্তারেরচর-ওয়াপদা-দুলারচরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে শরীয়তপুর সমিতি নামের একটি সংগঠন জানিয়েছে, পদ্মা নদীর ভাঙনে গত এক দশকে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা-নড়িয়া ও সখিপুর থানার প্রায় ২২ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, গত ১৫ দিনে ৭৫০টি বাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে এবং গত পাঁচ বছরে নদীর গর্ভে ফসলি জমি বিলীন হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়ায় জাজিয়া উপজেলার কুন্ডেরচর, বড়কান্দি, বিলাসপুর, জাজিরা সদর ইউনিয়ন এবং নাড়িয়া উপজেলার কেদারপুর, মোক্তারেরচর, চরআত্রা, ঘড়িসার ইউনিয়ন ও সখিপুর থানার দুলারচর, কাছিকাটা ইউনিয়ন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ পর্যন্ত ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬টি উচ্চ বিদ্যালয়, হাট-বাজার, মসজিদ-মাদরাসাসহ অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে কলমিরচর বাজার, কাইউয়ুমখার বাজার, দুর্গারহাট বাজার, নাড়িয়ার ওয়াপদা বাজার, সুরেশ্বর বাজার, চন্ডিপুর বাজার বিলুপ্ত হয়েছে বলেও জানান বক্তারা।

তারা বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর সুরেশ্বরের নিকটবর্তী ওয়াপদা লঞ্চঘাটে নোঙ্গররত অবস্থায় তীব্র নদী ভাঙনে ঢাকা-১, মৌচাক ও মহানগর এই ৩টি লঞ্চ ডুবে প্রায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মাত্র ৩০০টি মরদেহ পাওয়া গেছে। বাকিরা এখনও নিখোঁজ। লঞ্চ ৩টি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মানববন্ধন থেকে জনানো হয়, নাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মুলফৎগঞ্জ বাজার, মুলফৎগঞ্জ মাদরাসা, নাড়িয়া উপজেলা সদর, সুরেশ্বর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাজিয়ারচর সমিরুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এসব তথ্য তুলে ধরে মানববন্ধন থেকে সরকারের কাছে শরীয়তপুরবাসীর পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলোগ হলো-
এক. পদ্মার দক্ষিণ তীর পালেরচর-কুন্ডেরচর-বিলাসপুর-মোক্তারেরচর-ওয়াপদা-দুলারচর বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ।

দুই. পদ্মার মাঝে নদী খনন করে স্রোতের গতিপথ ইতিবাচকভাবে বদলাতে হবে। তিন. ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনঃনির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। চার. ঢাকা-১, মৌচাক, মহানগর লঞ্চ মালিকদের ক্ষতিপূরণ ও দুর্ঘটনায় নিহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।

পাঁচ. নদী ভাঙনে নিঃস্ব পরিবারের দ্রুত পুনর্বাসন করা। ছয়. সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে স্থায়ী নদী-বন্দরের ব্যবস্থা করা।

এমএএস/এমআরএম/জেআইএম

আরও পড়ুন