ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে লাগবে সমন্বিত প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে বিকল্প ব্যবস্থা নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করলেই হবে না। অন্যান্য মাধ্যম যেমন রেল, নৌ, সাইকেল, রিকশা এবং হাঁটার সঙ্গে এর সমন্বয় করতে হবে। পরিকল্পিত ভূমি ব্যবহারের মাধ্যমে যাতায়াতজনিত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এজন্য বিচ্ছিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ না করে সমন্বিত প্রকল্প হাতে নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক অংশীজন সভায় মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক।

প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে গণপরিবহনে, হেঁটে ও রিকশায় করে ৯৩ শতাংশ মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সরকারের পরিকল্পনায় এই মাধ্যমগুলোর প্রাধান্য নিশ্চিত করা হয়নি। যাতায়াতের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহন ও হাঁটার পরিবেশ উন্নয়নের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা নিশ্চিত না হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে।

ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে না করেও বর্তমান সড়কে যাতায়াত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রয়োজন দ্বিতলবিশিষ্ট বাস এবং এর জন্য পৃথক লেন চালু করা। পরিকল্পনায় ব্যক্তিগত গাড়িকে প্রাধান্য দেয়া হলে দূষণ, জ্বালানি ব্যয়, যানজট বৃদ্ধি পায়।

সভায় নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ভালো না হওয়ায় যানজট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ, বাসচালক সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পরিবহন পরিকল্পনায় যাতায়াত ব্যয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ঢাকা শহরকে ভালো রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমাদের পরিকল্পনা শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক। কিছু উন্নয়ন অন্যান্য শহরেও করা উচিত, যা বিকেন্দ্রীকরণে ভূমিকা রাখবে। প্রত্যেক এলাকায় মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে যাতায়াত চাহিদা কমে যাবে। পাশাপাশি যানজটও কমবে।

এই অংশীজন সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। দূষণ ও যানজটমুক্ত নগরের জন্য প্রয়োজন আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা। নগর উন্নয়নে পরিকল্পনাবিদদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ সকল অংশীদারদের নিয়ে স্কুলবাস চালুর চেষ্টা করবে। এর ফলে যানজট কমবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

অংশীজন সভায় আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রফেসর আদিল মুহাম্মাদ খান।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ পালন করা হচ্ছে। আশার কথা বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকে দিবসটি পালিত হলেও সরকারিভাবে ২০১৬ সালে প্রথম উদযাপন করা হয়।

এবারও বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হবে। ২২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সরকারি-বেসরকারি ৪৯টি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে দিবসের উদযাপন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। এদিন মানিক মিয়া এভিনিউয়ে দিবসটি উদযাপনে সকলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম ।

আজকের সভায় অংশ নিয়ে বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মিডিয়াকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

এএস/জেডএ/আইআই

আরও পড়ুন