মর্ত্যলোকে পা রেখেছেন দেবী দুর্গা
মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে, ঢাক বাজিয়ে মঙ্গলবার সকালে দেবী দুর্গার আবাহনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শুভ মহালয়া। সনাতন ধর্মমতে পিতৃপক্ষ শেষে গতকাল দেবী পক্ষের শুরু হয়েছে। দেবী দুর্গা এদিন পা রেখেছেন মর্ত্যলোকে। হিন্দু শাস্ত্রমতে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত।
মহালয়ার দিন ভোরে মন্দিরে মন্দিরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন জানানো হয়। দেবীর আরাধনা শুরু হয় মহালয়ার মাধ্যমে। নিয়ম অনুযায়ী এর ছয়দিন পর শুরু হয় ষষ্ঠী ও পর্যায়ক্রমে দশমীতে দেবী আবারও ফিরে যান হিমালয়ের কৈলাশে।
মহালয়ার পর থেকে ১৫ দিন হচ্ছে দেবী পক্ষ। মহালয়ায় দেবী দুর্গার আবাহন ছাড়াও পূর্বপু রুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে শ্রদ্ধা জানানো হয়, যাকে বলা হয় তর্পণ।
এদিকে, মহালয়া উপলক্ষে গতকাল ভোর থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। রাজধানীর স্বামীবাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম, মন্দিরসহ অনেক মন্দিরে সোমবার রাত থেকেই ভিড় করতে শুরু করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর ৬টায়। কেন্দ্রীয় পূজা মণ্ডপে সকাল ৯টায় মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়।
এছাড়া রাজধানীর রমনা কালী মন্দির ও কৃষিবিদ মিলনায়তনে মহালয়ার অনুষ্ঠান হয়েছে। সন্ধ্যায় ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে ছিল চণ্ডীপাঠ ও শারদীয় আগমনী সংগীতের বিশেষ আয়োজন।
বছর ঘুরে আবারও দেবী দুর্গা আসছেন তার বাপের বাড়ি। হিমালয়ের কৈলাশ থেকেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসেন সমতল ভূমিতে। সঙ্গে নিয়ে আসেন গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে।
সনাতন ধর্ম বিশ্বাস ও বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় এবার দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে নৌকায় চড়ে। তিনি বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে।
এমএমজেড/এসআর/আইআই