চাল নিয়ে চালবাজি বন্ধের দাবি
চাল নিয়ে চালবাজি বন্ধ ও শতভাগ রেশনিং পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক উন্মুক্ত সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, চালের দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। সরকার চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহারের পরও চালের দাম কমছে না। উল্টো মোটা চাল আমদানি করে এক শ্রেণির অসাধু মিল মালিক ৩৪ টাকার চাল চিকন বানিয়ে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি এবং ওএমএসের মাধ্যমে খোলা বাজারে যে চাল বিক্রি করছে সেখানেও শুরু হয়েছে এক চালবাজি।
তারা বলেন, আমরা সাধারণ নাগরিকরা চাল ব্যবসায়ী, সিন্ডিকেট ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। একটি পরিবারের দৈনিক প্রায় চাল কিনতে ব্যয় হচ্ছে দুই থেকে আড়াইশ টাকা। প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর ন্যায্যমূল্যের জন্য শতভাগ রেশনিং পদ্ধতির বিকল্প নেই।
এ সময় আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে; সারাদেশে পর্যাপ্ত বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে চালের বাজার হাতের নাগালে আনতে হবে। ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিক্রি না করে রেশন কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
সংগঠনের আহব্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান, কর্মসংস্থান আন্দোলনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী অ্যাড. ইসরাত হাসান প্রমুখ।
এএস/এআরএস/আরআইপি