ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নিরাপদ নৌ-ভ্রমণ নিশ্চিত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ১৩ জুন ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ নৌ-ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ‘নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি, পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ নৌ-ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আরো তৎপর হবে। নৌপথে ভ্রমণকারী যাত্রী, নৌযান কর্তৃপক্ষ এবং নদী ও নৌযানের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নৌআইন মেনে চলে দেশের নৌ-নিরাপত্তাকে আরো সুদৃঢ় করবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দুর্ঘটনামুক্ত নৌ-নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’

 

‘নৌ-নিরাপত্তা’ উন্নয়নে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৫ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতন হই এবং নৌ দুর্ঘটনা পরিহার করি-যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি’।

 

তিনি নৌ-পথকে নদীমাতৃক বাংলাদেশ’র অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নৌপরিবহণের গুরুত্ব অপরিসীম।

শেখ হাসিনা বলেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকার গত সাড়ে ছয় বছরে নৌপথের নাব্যতা পুনরুদ্ধার, নদীদখল ও দূষণমুক্ত রাখা এবং গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানি প্রবাহ ও পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ এ খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।

 

তিনি বলেন, নৌ-দুর্ঘটনা হ্রাসে নদীবন্দরসমূহে নিরাপত্তা জোরদার, অনুমোদিত ড্রইং ও ডিজাইন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযান নির্মাণ, ত্রুটিপূর্ণ নৌযান সনাক্তকরণ, নৌযান রেজিস্ট্রেশন, সার্ভে, মেরিন অফিসার ও নাবিকদের প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা পদ্ধতি আধুনিকীকরণ, আন্তর্জাতিক কনভেনশন বাস্তবায়ন, নৌনিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণসহ নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল পুনরায় চালু করা হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নদীরক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের এসকল কার্যক্রমের ফলে নৌপরিবহণ খাত আধুনিক, গতিশীল ও সেবামুখী হয়েছে। জনগণ কাক্সিক্ষত নৌসেবা পাচ্ছেন।’

 

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ উপকূলীয় এলাকায় ৭টি কোস্টাল রেডিও স্টেশন ও ৪টি নতুন বাতিঘর তৈরির কার্যক্রম চলছে, যা উপকূলীয় এলাকায় জাহাজ চলাচলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে। তিনি নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

 

এসএইচএস