রায়ের কয়েকটি পর্যবেক্ষণ বাতিলে আইনি পদক্ষেপের প্রস্তাব গৃহীত
বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক জাতীয় সংসদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যে অসাংবিধানিক, আপত্তিকর ও অপ্রাসঙ্গিক পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে তা বাতিলের জন্য আইনি পদক্ষেপের প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত সাধারণ আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে আলোচনার প্রস্তাব আনেন জাসদের একাংশের সভাপতি চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মইন উদ্দীন খান বাদল। এরপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে স্পিকার ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়। ফলে রায়ের পর্যবেক্ষণে দেয়া বিতর্কিত বিষয় রিভিউয়ে পরিবর্তন করতে চাপ সৃষ্টি করল সংসদ।
এ বিষয়ে একে একে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী, জাতীয় পার্টির ফকরুল ইমাম, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, তাহজীব আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
নোটিশ উত্থাপন শেষে বাদল বলেন, রায়ের মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতি তার চেহারাটা উন্মোচন করেছেন, যেটা আমাদের জনগণকে অনেক দুঃখ দেবে। আপনারা সামরিক আইনকে অবৈধ বলছেন আবার সামরিক আইনের গর্ভে জন্ম নেয়া জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে রাখতে চাচ্ছেন। কোন অধিকারবলে ৯৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছেন? এ রায় জাতির সামনে একটি অশনি সংকেত বলে অনেকে মনে করছেন। তাহলে কি আপনি মনে করেন অস্ত্রধারী উত্তর পাড়াই উত্তম?
বাদল আরও বলেন, এ সংসদে অনেক সদস্যই রয়েছেন, যারা সারাজীবন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। আপনি (প্রধান বিচারপতি) সংসদকে অপরিপক্ব বলেছেন। পরিপক্ব প্রধান বিচারপতি আপনার বোঝা উচিত এই সংসদ তার যে সীমারেখা তা অতিক্রম করেনি।
এইচএস/ওআর