রোহিঙ্গা ইস্যুতে ড. ইউনূস নীরব কেন : চুমকি
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা সন্দেহজনক। পশ্চিমা বিশ্ব ড. ইউনূসকে নিয়ে এত মাতামাতি করে কিন্তু আজ যখন সারা বিশ্বের নোবেল বিজয়ীরা রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের তীব্র প্রতিবাদ করছে সেই মুুহূর্তে ড. ইউনূস রহস্যজনকভাবে নীরব রয়েছেন।
মঙ্গলবার গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমুলিয়া বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কালীগঞ্জের সব মসজিদের ইমাম ও মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
যদিও গত ৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরব হন শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাখাইন রাজ্যের মানবিক সমস্যা নিরসনে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি এক খোলা চিঠি লেখেন তিনি। ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটেও ড. ইউনূসের খোলা চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের যখন নিধন করা হচ্ছে তখন ড. ইউনূস কেন ছুটে গেলেন না রোহিঙ্গাদের কাছে। তিনি কেন অং সান সুচিকে ফোন করলেন না। তার সঙ্গে সুচির কোনো আঁতাত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা উচিত।
তিনি বলেন, সুইডেনের নোবেল কমিটি নোবেলের জন্য ভুল মানুষকে নির্বাচন করেছিল। সুচি ও ড. ইউনূসের নোবেল পদক প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য নোবেল কমিটির প্রতি আহ্বান জানান চুমকি।
প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনের প্রতিবাদে বিশ্ববাসীকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ সব ধর্মের লোকদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।
কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কালীগঞ্জ উপজেলার ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি আবুল বাসার, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল আমিন ও বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা মাওলানা মো. আব্দুল হানিফ প্রমুখ।
এফএইচএস/জেডএ/এমএস