নিরপেক্ষ অস্থায়ী সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় খেলাফত মজলিস
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ অস্থায়ী সরকারের অধীনে করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এ ছাড়া নির্বাচনে আগে সংসদ ভেঙে দেয়া ও সেনা মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এই সব দাবিসহ ১৫টি প্রস্তাব দেয় খেলাফত মজলিস।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুন হুদার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। দলটির সভাসচিব মওলানা মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
আজ বিকেলে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে বৈঠক হওযার কথা থাকলেও তারা উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে ইসিকে জানিয়েছেন।
খেলাফত মজলিসের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে আনা, নির্বাচনের সাতদিন আগে থেকে নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা,
নির্বাচন কালো টাকার প্রভাব মুক্ত করা, ব্যক্তিগত সব ধরনের প্রচার বন্ধ করে ইসির পক্ষ থেকে প্রচারের ব্যবস্থা করা আর এই প্রচারের টাকা প্রার্থীদের কাছ থেকে নেয়া।
এ ছাড়া নির্বাচন সংক্রান্ত সব মামলা ইসির মাধ্যমে ছয়মাসের মধ্যে মীমাংসা করা, পূর্বের সীমানায় নির্বাচন করা, নির্বাচন সংক্রান্ত সব আইন বাংলা ও সহজবোধ্য করা, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ইসিতে নিববন্ধনের সুযোগ না দেয়া, নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ধর্মের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিক আইন করা বা শর্ত না দেয়া, নির্বাচনকালীন সময় সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা আর বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া, অনলাইনে মনোনয়নের ব্যবস্থা করা, নির্বাচনের খবর প্রচারে মিডিয়ায় কোনো বাধা না দেয়া, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও প্রবাসীদের ভোটার করা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এরই ধারবাহিকতায় এই বৈঠক হয়।
৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ অগাস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মত বিনিময় করেছে ইসি। ২৪ আগাস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করল ইসি।
এইচএস/এনএফ/জেআইএম