রোহিঙ্গাদের দেখতে উখিয়ায় প্রধানমন্ত্রী
জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারের উখিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী একটি ফ্লাইট কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে সড়কপথে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে যান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, কক্সবাজার-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম ও মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
আজ শেখ হাসিনা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আরো কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবিরের কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।
এরপর সার্কিট হাউজে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। নামাজ ও মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে আজ বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে তার।
টানা দু’বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি তার অষ্টমবারের মতো কক্সবাজার সফর। তবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন। বিদেশি শরণার্থী শিবির হলেও নানা কারণে অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। তাই প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, টেকনাফ ও উখিয়ায় বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। উখিয়ার কুতুপালংয়ে বন বিভাগের দুইশ একর জমিতে তিনশ শেড বানানোর কাজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে।
মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও পুরুষকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। আগে থেকে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গাকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়ে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি পার করলেও মানবিক কারণে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত ২৪ আগস্টের পর থেকে নতুন করে ৩ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে। আসছে আরো রোহিঙ্গা। পুরাতন ও নতুন মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থান করছেন।
সায়ীদ আলমগীর/এএসএস/এআরএস/জেআইএম