রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন শুরু
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন শুরু হচ্ছে আজ (১১ সেপ্টেম্বর, সোমবার)। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আবাস তৈরিতে কুতুপালং মৌজায় বর্তমান ক্যাম্পের পাশে নতুন করে আরও ২ হাজার একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে আজ (সোমবার) থেকে শুরু হচ্ছে তাদের (রোহিঙ্গা) বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভন্ন সংস্থার বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বয়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচআর বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিত করবে। এ ছাড়া পাসপোর্ট অধিদফতরও এ কাজে সহায়তা করবে।
এদিকে গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা ‘রোহিঙ্গা সেল’ গঠন করেছে সরকার। জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) মো. সামছুর রহমান প্রধান সমন্বয়ক এবং যুগ্ম-সচিব মো. শফিকুর রহমান সমন্বয়ক হিসেবে সেলের দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া সেলে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে থাকবেন উপসচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সহিংসতা ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমান্তের ওপার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রেবেশের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান জেলাসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় সার্বিক পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রমের মাধ্যমে সমন্বয় সাধনের সুবিধায় রোহিঙ্গা সেল গঠন করা হয়েছে। রোহিঙ্গা অনু্প্রবেশ, পুশব্যাক সম্পর্কিত তথ্যাদি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করবে গঠিত এ সেল।
দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাওয়া বা চিকিৎসাসেবার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কোনো কৃপণতা নেই। রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তাদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে।
এমএএস/আরএস/আরআইপি