কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেব। তবে বিশ্ববাসীকে সঙ্গে নিয়ে, কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকার এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বিকলে সাড়ে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীর শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা যেভাবে দেশে প্রবেশ করছেন তাদের বর্ণনা দিয়ে মায়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা এ অবস্থায় চুপ থাকেননি। যেভাবে মিয়ানমারের লোক দেশে পালিয়ে আসছে আমরা যদি তাদের কট্রোল করতাম তাহলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হত। আমরা সেটা পারি না।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারসহ সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করব। উখিয়ায় দুই হাজার একর জায়গা চিহ্নিত করে সেই জায়গায় তাদেরকে অস্থায়ীভাবে রাখা হবে। দেশে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের খাওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। মানবিক দিক থেকে আমরা এসব করব। এতে সরকারের কোনো প্রকার কৃপণতা নেই।
এছাড়া আমরা হাতিয়ার ঠেঙ্গারচর যেটাকে প্রধানমন্ত্রী ভাষানচর নাম দিয়েছেন সেখানেও তাদের রাখব। তারা মিয়ানমারের নাগরিক। যতদিন পর্যন্ত তারা দেশে ফিরে যেতে না পারবেন ততদিন তারা সেখানে থাকতে পারবেন।
এইচএস/এএইচ/আইআই