নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনা চায় ইসলামী ফ্রন্ট

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দলটি।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপের সময় এ দাবি জানান তারা। দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মান্নানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।

সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অন্যান্য কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

দলটির পক্ষ থেকে সঠিক সময়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাওয়া হয়। নির্বাচন সংক্রান্ত সব আইন বাংলায় করারও দাবি জানান তারা। তাদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, নির্বাচনী আইন সংস্কার, বিদেশে অবস্থানরত সব বৈধ ব্যক্তিদের ভোটাধিকারের সুযোগ দেয়া, মহিলাদের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নির্বাহী কমিটির নির্দিষ্ট সীমিত কোটায় না রেখে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের অংশ কিংবা সহযোগী সংগঠন গঠন করে স্বাধীনতাভাবে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া।

এছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনা এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়ে সবাইকে নিয়ে প্রকাশ্যে বিতর্কের ব্যবস্থার দাবি জানান তারা।

বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে বসবে ইসি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করছে ইসি। এর আগে ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধি, ২৪ আগাস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে কমিশন। ঈদের আগে আরও পাঁচটি দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করে ইসি।

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বিকালে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে বসবে ইসি। ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে কল্যাণ পার্টি ও বিকালে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি।

১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক অন্দোলন, বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি; ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বিকালে প্রগতিশীল গণতান্ত্রীক দল (পিডিপি); ২০ সেপ্টেম্বর সকালে গণফ্রন্ট, বিকালে গণফোরাম; ২১ সেপ্টেম্বর জামিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বিকালে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে বসবে ইসি।

এইচএস/এমএআর/এমএস