ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

যক্ষায় আক্রান্ত শিশু শনাক্তকরণে জটিলতা এখনও প্রধান চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ১০ জুন ২০১৫

যক্ষায় আক্রান্ত শিশু শনাক্তকরণে জটিলতা এখনও প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এছাড়াও সংক্রমণের ইতিহাস সঠিকভাবে না জানা, অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন বিকল পড়ে থাকা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যক্ষা শনাক্তকরণ যন্ত্র জিন এক্সপার্টের অভাব, চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকা ও সর্বোপরি জনসচেতনতার অভাব ইত্যাদি কারণে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে শিশু যক্ষারোগীর শনাক্তের হার অনেক কম। তবে অধিক জনসংখ্যা ও ঘনবসতির কারণে ঢাকায় শিশু যক্ষারোগী গ্রামাঞ্চলের চেয়ে তুলনামূলক বেশি।

বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত ‘জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: শিশু যক্ষা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও ব্র্যাক যৌথভাবে এ বৈঠক আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, বাংলাদেশে শিশু যক্ষারোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট যক্ষারোগীর প্রায় ১০ শতাংশ শিশু। শিশু যক্ষারোগী শনাক্তের নানা সমস্যা থাকলেও তা দূর করার জন্য সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে।

বাংলাদেশে যক্ষা পরিস্থিতির সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই যক্ষা আক্রান্ত মৃত্যুর হার কমিয়ে এনে সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছি। তবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সরকারি ও বেসরকারি ভাবে সমন্বিত উদ্যোগ আরো বাড়াতে হবে।`

ড. মো. আকরামুল ইসলাম আরো বলেন, ‘বেশি জনসংখ্যা ও ঘনবসতির কারণে ঢাকায় শিশু যক্ষা তুলনামূলক বেশি। এ পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে হলে আমাদের জনসচেতনতা আরো অনেক বাড়াতে হবে।`

দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর যুগ্ম সম্পাদক শামসুল হক জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মোজাম্মেল হক, ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কনসালট্যান্ট ডা. মজিবুর রহমান, ব্র্যাকের টিবি, ম্যালেরিয়া, ওয়াশ ও ডিইসিসি কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, নারী শিশু ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও গবেষণা সমন্বয়ক ডা. খুরশীদ তালুকদার প্রমুখ।

এছাড়া এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শায়লা ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাগুফতা সুলতানা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ঢাকা বিভাগের কনসালট্যান্ট  ডা. আহমেদ পারভেজ জাবীন এবং সঞ্চালনা করেন দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্ল্যানিং এডিটর আসজাদুল কিবরিয়া।

এমইউ/আরএস/আরআই