শান্তি মিশনে নারী পুলিশ প্রেরণে বাংলাদেশ প্রথম
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারী পুলিশ সদস্য প্রেরণের ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মঙ্গলবার বিকেলে সংসদের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক-আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে ব্যাপক আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ মিশনে পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে আছে। মন্ত্রী বলেন, তবে নারী পুলিশ সদস্য প্রেরণের ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ১২৩৯ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের সদস্য সংখ্যা অপ্রতুল বিবেচনায় বর্তমান সরকার তার পূর্বেও মেয়াদে এ বাহিনীর প্রায় ৩২ হাজার সদস্য বৃদ্ধি করেছে। এ বাহিনীতে আরো ৫০ হাজার জনবল বৃদ্ধির নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বেগম হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্সের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিদেশে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। ইন্টারপোল সদস্যভুক্ত দেশগুলির কাছে পলাতক আসামি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হয়েছে।
সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে চৌধুরী এমএ রাশেদ যুক্তরাষ্ট্র এবং চৌধুরী এসএইচএম বি নুর কানাডায় অবস্থান করছে বলে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
এছাড়া শরিফুল হক ডালিম, ক্যাপ্টেন অব আবদুল মাজেদ, রিসালদার মোসলে উদ্দিন এবং লে. কর্নেল আবদুল রশীদের অবস্থান নিশ্চিতকরণের জন্য ইন্টারপোলের সহয়তায় সার্বক্ষণিক যোগোযোগ অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে লক্ষীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অবহিত রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন দেশের জেলে প্রায় সাত হাজার জন বাংলাদেশি নাগরিক আটক রয়েছেন। তবে এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।
মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে সকল আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এইচএস/এসএইচএস/আরআই